সম্প্রতি কানাডায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আরিয়ান আলম দ্বীপ্তের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ব্যাপক শোরগোল। এটা আসলেই কি কোনো দুর্ঘটনা, নাকি পরিকল্পিত কোনো হত্যাকাণ্ড! এ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে ইতিমধ্যেই তদন্তের দাবি জানিয়েছে দ্বীপ্তের পরিবার। আর এতেই নতুন করে এক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জানা যায়, নিবির কুমারের সঙ্গে একই ফ্ল্যাটে থাকতেন দ্বীপ্ত। কিন্তু সম্প্রতি তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু লাবিবের ফ্ল্যাট থেকে ১,৮০০ ডলারের জ্যাকেট নিখোঁজ হওয়ার জন্য দ্বীপ্তকে দায়ী করা হয়। শুধু তাই নয়, জ্যাকেটের জরিমানা দেওয়ার পাশাপাশি তাকে মারধরও করা হয়। তাকে ফ্ল্যাট থেকেও বের করে দেওয়া হয়। আবার তাদের সঙ্গে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন দ্বীপ্ত। নেপথ্যে উঠে আসে নিবির কুমারের বন্ধু লাবিবের নামও। এসব কারণে দুর্ঘটনা নাকি’ ”খু”ন”, তদন্ত চায় দ্বীপ্তের পরিবার।
দ্বিপ্তের বাবা-মা বলেছেন যে নিবির কুমার কীভাবে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে ৫০ কিলোমিটারের রাস্তায় স্থগিত লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন তা তদন্ত করা দরকার। এছাড়া এক মাস আগে দ্বীপ্তকে তার বন্ধুরা জোরপূর্বক ঘুরতে নিয়ে যায় এবং মারধর করে বলেও অভিযোগ করেন তারা।
দ্বীপ্তের এক বন্ধুর চ্যাটে দেখা যায়, গায়ক কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমারের সঙ্গে বের না হওয়ার অজুহাত হিসেবে আরিয়ান জানায়, তার কাছে টাকা নেই। কিন্তু আরেক বন্ধু বলল, তারা এটা মানে না। আরিয়ানের পরিবারের অভিযোগ, দ্বীপ্তকে জোর করে সঙ্গে নিয়ে যায় তারা।
দ্বীপের বাবা এম আলমগীর বলেন, আমার ছেলেকে জোর করে ধরে নিয়ে গেছে। লাবিব এ ঘটনার সবই জানে। লাবিব ওই গাড়িতে যায়নি, তবে সে নিবির কুমারের বন্ধু। আমরা চাই লাবিবকে আইনের আওতায় আনা হোক। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অনেক কিছুই জানা যাবে।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের গত সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) স্থানী সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে কানাডায় টোরেন্টোতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাদেশী তিন শিক্ষার্থীর প্রাণহানি ঘটে। এবং গুরুতর অবস্থায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয় নিবিড় কুমারকে।