আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে বিরোধী দল বিএনপি’কে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বারবার নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা বললেও, তা রীতিমতো প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। আর এ বিষয়টি নিয়ে আবারও মুখ খুললেন বিরোধী এই দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন, নির্বাচন কমিশন বিএনপির সঙ্গে সংলাপে বসতে চেয়েছিল। আমরা সেখানে যাইনি কারণ আমরা নির্বাচন কমিশন বুঝি না, নির্বাচন কমিশন চিনি না, মানি না। আমরা চাই এই সরকার থাকবে না। সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন হবে। সেই নির্বাচনে আমরা যাব।
সিইসি বলেন, বিএনপিকে বারবার ডাকবেন। আপনাকে সাধুবাদ জানাই। বিএনপিকে ছাড়া নির্বাচন করতে পারবেন না বলে বারবার ডাকবেন এই কারণে। বিএনপি ছাড়া বাংলাদেশে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না। এই ব্যর্থ, দুর্বৃত্ত সরকারকে আমরা কোনো অবস্থাতেই ছাড়ব দেব না। আপনারা ক্ষমতা ছেড়ে, নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। তারপর যদি ক্ষমতায় আসেন আপনাদের আমরা মাথায় তুলে নাচবো। বাংলাদেশের মানুষ কখনোই মেনে নেবে না যে তারা নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় থাকবে- বলেন আব্বাস।
এক-এগারোতে মাইনাস টু না, মাইনাস ওয়ান ফর্মুলা করা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক-এগারোতে সবাই ভেবেছিল মাইনাস টু ফর্মুলা হয়েছে। মাইনাস টু না, আসলে মাইনাস টু ওয়ান। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার প্ল্যান ছিল। সেই প্ল্যান অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।
আমি আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সাথে জেলে ছিলাম। আরও অনেকে ছিলেন। আওয়ামী লীগের অনেক লোক ছিল। কাদের সাহেবও ছিলেন। আমি কাদের সাহেব সম্পর্কে দুকথা ১০ জায়গায় বলেছিলাম। আমি যা বলি সত্য, মিথ্যা বলি না! আমার মিথ্যা বলার অভ্যাস নেই। কাদের সাহেব আর আমি পাশাপাশি থেকেছি। উনার সম্পর্কে দুএকটি কথা কি জানি না? বলতে কি পারি না? উনিও আমার সম্পর্কে বলতে পারবেন। এ জন্য অনেকের গাত্রদাহ শুরু হয়ে গেছে। রাজনীতি করি, সহনশীল মনোভাব থাকতে হবে। আমি কারো কথা মানি বা না মানি, কথা বলার অধিকার তাকে দিতে হবে। কথা বলার অধিকার আছে বলেই তারেক রহমান সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলবেন, বাজে কথা বলবেন, প্রশ্ন রাখেন তিনি।
তারেক রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচন কেন্দ্র করে নির্বাচন কমিশনের সাথে আলোচনা জন্য প্রস্তাবে সাধুবাদ জানানো হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। বিএনপি ছাড়া কোনো নির্বাচন সম্ভন নয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।