গতকাল (শুক্রবার) অর্থাৎ ৬ জানুয়ারি আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বক্তব্য দেয়ার সময় তিনি হঠাৎ করে মঞ্চ ভেঙে পড়ে যান। তার বক্তব্য দেয়া কালে মঞ্চে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যার কারণে হঠাৎ করে সকল নেতাকর্মীকে নিয়ে মঞ্চটি ভেঙে পড়ে। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবেও ভিডিওটি ভা”ইরাল হয়।
ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সময় মঞ্চ ভেঙে পড়া নিয়ে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তিনি বলেন, মঞ্চ তৈরিতেও এই দলের নেতারা লুটপাট চালায়। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই দলের সাধারণ সম্পাদক পরে গিয়েছেন। এটা একটা বাস্তব উদাহরন গড়লেন তারা।
শুক্রবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির দশম কংগ্রেসে এসব কথা বলেন টুকু। চারদিনের কংগ্রেস শেষ হবে ৯ জানুয়ারি।
টুকু আরও বলেন, গণতন্ত্রের জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি। সেই গণতন্ত্র আজ হারিয়ে গেছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। এখন একজনতন্ত্র। উনি যা ইচ্ছা করেন, সেটাই রাষ্ট্রের ইচ্ছা, উনি যা ইচ্ছা করেন সেটাই হয়। তাছাড়া আর কারো কোনো ইচ্ছায় দেশ চলে না।
এ সরকারকে জনগণ আর চায় না মন্তব্য করে বিএনপি নেতা বলেন, জনগণ আর এই অবস্থায় থাকতে চায় না। আমরা ১০টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছি। বাধা-বিপত্তি পার হয়ে চিড়া-গুড় নিয়ে একদিনের মিটিং তিনদিনে করেছি। নদীতে সাঁতার কেটে মানুষ সমাবেশে এসেছেন। তার মানে জনগণ আর এই সরকার চায় না।
টুকু বলেন, আমাদের ঐক্যের মাধ্যমে দেশে যে আন্দোলন হবে তা এই এ সরকারকে বিদায় নিতে হবে। কিন্তু এটা বেশি দূরে নয়। আমাদের অবস্থান প্রতিবাদ হবে ঐতিহাসিক। আমি এই কংগ্রেসের কাছে আবেদন করছি, জনগন আমাদের যুগপৎ কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে এই সরকারকে বুঝিয়ে দিয়েছে, তাদের সঙ্গে কোনো লোক নেই। আমার মনে হয় মানুষ জেগে উঠেছে। অবশ্যই এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে। জনগণের কাছে কেউ টিকতে পারেনি, পারবেও না।
ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মঞ্চ ভেঙে পড়া নিয়ে টুকু বলেন, “আজ এই দলের মঞ্চ ভেঙে পড়ায় একটু অবাক হলাম। মঞ্চ বানাতে গিয়েও তারা লুটপাট করে খায়। সেটা আবার মঞ্চে দাঁড়িয়ে এই দলের সাধারণ সম্পাদক পড়ে গেলেন। কারণ সেখানেও চুরি হয়েছে। মঞ্চটি বানাতেও লুট করেছে। ঠিকমতো মঞ্চ তৈরী করা হয়নি। এখন তাদের ছাত্র সংগঠনের একজন জেলা নেতার কাছেও ২০০০ কোটি টাকা পাওয়া যাবে। এমন কোন জায়গা নেই যেখানে লুটপাট নেই এবং সেই লুট করা টাকা আবার বিদেশে পাচার হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে মঞ্চে উঠে বক্তব্য দেয়ার সময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আশেপাশে মঞ্চে অবস্থান করছিলেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। যার কারণে মঞ্চটি এ সকল নেতাকর্মীদের ওজন ধরে রাখতে না পেরে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়ার পর তেমন কোনো চোট লাগেনি ওবায়দুল কাদেরের। তবে ভেঙে পড়ার পর তিনি বক্তব্য দেন এবং সেখানে জানান, এত নেতাকর্মী আমাদের দরকার নেই।