গতকাল রবিবার শেষ হয়ে গেল ‘দ্যা গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত ফুটবল বিশ্বকাপ। আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে জয়ের মালা পরে নিল আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি বিশ্বকাপের ট্রফি নেন। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলায় এতদিন ধরে উন্মাদনায় মেতেছে গোটা বিশ্ব। বাদ যায়নি বাংলাদেশও। বিজয়ী দলের গোলরক্ষক মার্টিনেজ পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লাভস, লিওনেল মেসি পেয়েছেন গোল্ডেন বল, কাইলিয়ান এমবাপ্পে পেয়েছেন গোল্ডেন বুট। এছাড়া বিশ্বকাপের শিরোপা গেল আর্জেন্টিনার ড্রেসিংরুমে। কিন্তু এই বিশ্বকাপ থেকে ফিফা কত টাকা লাভ করেছে? তা অনেকেই জানেন না। টাকার পরিমাণ জানলে অনেকেরই মাথা ঘুরে যাবে।
বিশ্বকাপ আয়োজন করতে ফিফার সময় লাগে ৪ বছর। ফলে এর প্রস্তুতিতে দীর্ঘ সময় লাগে বললে অত্যুক্তি হবে না। প্রতিবার বিশ্বকাপ শেষ হলেই ফিফা বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে। ফিফা আগের বছরের তুলনায় এ বছর ১ বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করেছে। ২০১৮ সালে, রাশিয়ায় বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এবার কাতারে।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিফা এবারের বিশ্বকাপ থেকে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। তবে ফিফা অনুমান করেছে যে আয় হয়েছে সেটা ধারনার চেয়ে অনেক বেশি। প্রকৃত আয় হিসাবকে ছাড়িয়ে গেছে। ফিফার মতে, এবারের বিশ্বকাপ একটি দেশে আয়োজন করায় ফুটবলার-সহ টিমগুলির যাতায়াতও কমেছে অনেকটাই।
এই ৭.৫ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে, ফিফার মোট পাঁচটি দিক থেকে আয় রয়েছে। এগুলো হল টিভি স্ট্রিমিং রাইট, বিজ্ঞাপন রাইট, লাইসেন্সিং রাইট, টিকিট বিক্রি ও হসপিটালিটি রাইট। তাদের মধ্যে, ফিফা সবচেয়ে বেশি অর্থ উপার্জন করে টিভি স্ট্রিমিং রাইট থেকে। মোট আয়ের ৫৬ শতাংশ এসেছে টিভি স্ট্রিমিং থেকে। অর্থের ২৯ শতাংশ আয় হয় বিজ্ঞাপন থেকে এবং বাকি অর্থ অর্জিত হয় অন্যান্য খাত থেকে।
শুধুমাত্র টিকিট বিক্রি থেকে ফিফা এই বিশ্বকাপে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে। কাতার বিশ্বকাপের টিকিটের দাম ২০১৮ এর রাশিয়া বিশ্বকাপের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি ছিল, একটি জার্মান মিডিয়া আউটলেট এমন দাবি করেছে। কাতারে ফাইনাল ম্যাচের টিকিটের মূল্য ৬৮৪ পাউন্ডে পৌঁছেছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮৮,৬১৯ টাকা।
বিশ্বকাপ ফুটবলে ফিফার নানা ধরনের আয় থাকলেও মোটা অর্থ আয় করে নিল কাতার বিশ্বকাপ থেকে। কাতার বিশ্বকাপে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দর্শনার্থীরা এসেছিল, যার পরিমান অন্যান্য বিশ্বকাপের থেকেও বেশি। তাই ফিফার আয়ও বেশ কিছুটা বেশিই হয়েছে।