প্রতিবারের মতো এবারেও বেশ জাকজমক ভাবেই শুরু হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপ। ফুটবল প্রেমী কোটি কোটি ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠছে গ্যালারি গুলোও। তবে সেই বিশ্বকাপের মধ্যেই এবার ঘটলো বড় এক অঘটন। যা নিয়ে রীতিমতো শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
মরুভূমিতে প্রথম বিশ্বকাপে সুইজারল্যান্ডের কাছে ৩-২ গোলে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় সার্বিয়া। কিন্তু এরই মধ্যে সার্বিয়ান জাতীয় দলে ফাটলের গুঞ্জন মিডিয়ায় উঠে এসেছে।
সার্বিয়ান স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচের বিরুদ্ধে সতীর্থের স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
ইংরেজ সাংবাদিক রিচার্ড উইলসনকে নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন মার্কা।
জুভেন্টাস স্ট্রাইকার দুসান ভ্লাহোভিচ দলের প্রশিক্ষণ শিবিরের সময় তার সতীর্থ প্রেড্রাগ রাজকোভিচের স্ত্রীর সাথে সম্পর্ক ছিল, রিপোর্ট অনুযায়ী। এমনকি দুজন একসঙ্গে ভ্রমণও করেছেন।
তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ অস্বীকার করেন দুসান ভ্লাহোভিচ। তিনি দাবি করেছেন যে তার নাম নিয়ে ব্যান্ড করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এভাবে সংবাদ সম্মেলন শুরু করার জন্য আমি দুঃখিত। কিন্তু আমি এটা সম্পর্কে কথা বলতে হবে. কারণ, এতে আমার নাম লেখা আছে।
এই স্ট্রাইকার বলেন, “সাধারণত আমি এইরকম যা শুনি বা দেখি তাতে খুব একটা মনোযোগ দিই না।” আসলে যারা এসব লেখেন তাদের আর কোন কাজ নেই। তারা হয় হতাশ বা খুব ক্ষুব্ধ। তবে দলের স্বার্থে আমাকে মুখ খুলতে হবে। আমি শুধু একটা কথাই বলতে পারি, খুবই জঘন্য বিষয় লেখা হচ্ছে। আমি এর থেকে আমার নাম মুছে দিতে চাই।
নিজের বিরুদ্ধে আসা এ অভিযোগ অস্বীকার করে গুণী এই স্ট্রাইকার আরো দাবি করেন, নিজের নাম রক্ষা করতে দরকার হলে তিনি আইনি ব্যবস্থা নিতেও প্রস্তুত। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি।