কাঠগড়ায় মেজাজ হারিয়ে যা করলেন হাজী সেলিম

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন সম্পর্কিত যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখান। এ মামলার শুনানিতে হাজী সেলিমকে আদালতে হাজির করা হলে, তিনি তার আইনজীবীর ওপর বিরক্ত হয়ে মেজাজ হারান। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, তিনি দুই পৃষ্ঠার কাগজ পড়ে নিজের প্রতিষ্ঠানের জমি অধিগ্রহণের তথ্য জানার পর সেসব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এদিন, হাজী সেলিমসহ অন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। পরে পুলিশ হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হ্যান্ডকাফ পরিয়ে হাজতখানা থেকে আদালতে নিয়ে আসে। আদালতে হাজির হওয়ার পর পুলিশের পক্ষ থেকে হাজী সেলিমের হেলমেট খুলে দেওয়া হয়। এরপর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি আইনজীবীর প্রতি তার বিরক্তি প্রকাশ করেন এবং মেজাজ হারিয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করেন। মাঝেমধ্যে নিজের আঙুল দিয়ে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

শুনানির সময় তার আইনজীবী প্রাণ নাথ আদালতের অনুমতি নিয়ে হাজী সেলিমকে দুটি পৃষ্ঠার প্রিন্ট করা কাগজ পড়তে দেন। এ সময় আইনজীবীরা তাকে বুঝিয়ে দেন। পরে, ১০টা ৩৮ মিনিটে পুলিশ পাহারায় তাকে ফের আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। হাজী সেলিমের আইনজীবী প্রাণ নাথ জানান, পটুয়াখালীর পায়রা বন্দর সংলগ্ন এলাকায় তার মালিকানাধীন মদিনা মেরিটাইমের নামে সাড়ে ১০ একর জমি রয়েছে, যা সরকার অধিগ্রহণ করেছে। এছাড়া, ওই প্রতিষ্ঠানের জন্য আরও সাড়ে ১০ একর জমি ক্রয়ের রেজিস্ট্রেশন করা হবে—এটি কাগজে লিখে হাজী সেলিমকে জানানো হয়েছে।

হাজী সেলিম কেন বিরক্ত ছিলেন, এ বিষয়ে আইনজীবী বলেন, হাজী সেলিম কারাগারে সঠিক সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। তিনি কথা বলতে পারেন না, এমনকি তার কথা কেউ বুঝতেও পারে না। এসব কারণে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেছেন, তবে এখন আমাদের তেমন কিছু করার নেই। যতটুকু পারছি, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তার সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।