Wednesday , October 16 2024
Breaking News
Home / Countrywide / কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক (ভিডিও সহ)

কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদলেন সাবেক কৃষিমন্ত্রী রাজ্জাক (ভিডিও সহ)

শুনানিকালে কান্নায় ভেঙে পড়েন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে আদালতে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায়। এদিকে রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আব্দুর রাজ্জাকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মাহবুবুল হক এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে রিমান্ড শুনানিতে সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আদালতকে বলেন, আমি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে আমেরিকার একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেছি। ২৪ বছর সরকারি চাকরি করেছি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে। দেশপ্রেমের তাড়নায় আওয়ামী লীগে যোগ দিই। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার আগে স্বৈরাচার আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে জনসমাবেশ করেছি। ৬৯ এ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ শুধু অংশগ্রহণ না নেতৃত্ব দিয়েছি। আমার বয়স যখন ১১ মাস তখন বাবা মারা যান। আমি ও আমার ভাই নানা বাড়িতে মানুষ হয়েছি। আমরা সেল্ফ ডিপেন্ডেন্ট ছিলাম। আমার পরিবারের সবাই যার যার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত। আমাকে যে অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তার সঙ্গে বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাই।

এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আসামিদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আব্দুর রাজ্জাকের পক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাককে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

About Nasimul Islam

Check Also

চায়ের আমন্ত্রণে আসা ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *