গত কয়েক সপ্তাহ আগে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশের উচ্চপদস্থ ৭ র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞাকে ঘিরে বেশ বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। এমনকি সর্বত্র এই নিয়ে চলছে বেশ আলোচনা-সমালোচনা। তবে বাংলাদেশ এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
লবিস্ট নিয়োগসহ র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বাংলাদেশ যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ কে আব্দুল মোমেন্টেন। শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স-বিলিয়া আয়োজিত আন্তর্জাতিক সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সব দেশেই গণতন্ত্রের একটি নির্দিষ্ট অপরিপক্কতা রয়েছে। বাংলাদেশও পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর স্বীকার করেছে যে র্যাব সন্ত্রাস দমনে কাজ করছে। আব্দুল মোমেন বলেন: “র্যাব নিষিদ্ধ হলেও পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে র্যাব তাদের নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে দিয়েছে। তারা স্বীকার করেছে।” “আমাদের যদি ফাঁক, দুর্বলতা থাকে, (তাহলে) আমরা অবশ্যই তা দেখব, আমরা ব্যবস্থা নেব,” তিনি যোগ করেছেন।
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর বাংলাদেশ নতুন লবিস্ট নিয়োগ করবে কিনা জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন: “আমরা আমাদের দেশে লবিং করছি। এবং, সে দেশে, তারা বলে, প্রতিষ্ঠান লবিং করছে। যেখানে লবিং করা দরকার, আমরা তা করব। দেশে কাজ করতে অনেক লবিং লাগে। তাই আমরা দেখব আইনি ব্যবস্থার মধ্যে থেকে কী করা যায়।’ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট আলাদাভাবে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ।
এমন নিষেধাজ্ঞায় বেশ বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয় দেশের বিভিন্ন শ্রেনীর মানুষ সরকারের সমালোচনা করেছে। এবং সরকারের কর্মকান্ড নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছে। তবে বাংলাদেশের সরকার এই সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবং মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য কাজ করছে।