প্রেম-ভালোবাসা মানেনা কোনো ধর্ম, বয়স ও জাত। মনে যাকে ভালো লাগে তাকেই মানুষ মন দিয়ে দেয় এবং প্রেমে আবদ্ধ হয়। সেই প্রেম গড়ায় বিয়ে পর্যন্ত। সমাজের মানুষ বয়সে ছোটো কিংবা বড় মেয়ে বা ছেলেকে বিয়ে করলে অনেকেই সমালোচনা করে থাকে। কিন্তু তারা বিয়ে করে সুখে থাকলে সেইটা দেখেনা। সম্প্রতি জানা গেল আলোচিত কলেজ শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ এবং দারোয়ানের কাজ থেকে পাওয়া গেল তথ্য।
নাটোরেছাত্রকে (২২) বিয়ে করা আলোচিত মেয়ে শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকাল সাতটার দিকে (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে শহর বলা হয় একটি ভাড়া বা তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নাটোর সদর এলাকা প্রাপ্ত ভার্দারদার নাসিম আহমেদের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্বামী মামুনের অনুরোধ, সপ্তাহে সকাল ফজরের নামাজ মামুন বাড়িতে যেতে নক করেন। কিন্ত কোন না সায় পাড়ে ভেঙ্গে পড়া পাওয়া পাওয়া ওনা পাওয়া গলায় পেঁচিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আছেন খারুন না।
এদিকে ওই ভাড়া বাসার দারোয়ান নিজাম উদ্দিন দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমকেকে বলেন, ‘রাত ১১টায় বাসায় ঢোকেন মামুন। আবার আড়াইটার দিকে বের হন। এ সময় কেন বের হচ্ছে জানতে চাইলে মামুন বলেন, ওষুধ কিনতে যাচ্ছেন। পরে সকাল ৬টায় মামুন আবার ফিরে আসেন। এরপর তিনি আমাকে ডাকেন। আমি চার তলায় গিয়ে দেখি লাশ সিলিং ফ্যান থেকে নামানো।’
ভবনের বাসিন্দা ও এলাকাবাসী জানায়, রোববার ভোরে স্বামী মামুন ভবনের অন্য বাসিন্দাদের জানায় তার স্ত্রী খায়রুন নাহার শেষ রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। লোকজন তার বাসায় গিয়ে খায়রুন নাহারের মরদেহ মেঝেতে শোয়া অবস্থায় দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। তারা মামুনকে বাসার মধ্যে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী ও প্রতিবেশীরা ভীড় জমিয়েছে শহরের বলারীপাড়াস্থ ওই দম্পতির ভাড়া বাসার সামনে। তাই বাড়ির ভেতরেই মামুনকে পুলিশ পাহারায় রাখা হয়। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া। এ তথ্য জানিয়েছেন নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাছিম আহমেদ।
নাছিম আহমেদ বলেন, প্রকৃতই কি ঘটেছে তা জানার জন্য মামুনকে হেফাজতে নেয়া দরকার। তবে বলারীপাড়ার ভাড়া বাড়ির সামনে মানুষজনের উপস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বাড়িতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এরপর তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, তারা দুজন বিয়ে করে ভালই সুখে শান্তিতে জীবন অতিবাহিত করছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এমনটা ঘটবে সেইটা সবার কাছেই ছিল অনাকাঙ্খিত একটি বিষয়। তাদের বিয়ে করাটা বেশ আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি করেছিল।