একে অপরকে ভালোবেসে কলেজ শিক্ষিকা ও ছাত্র করেছিলেন বিয়ে। তাদের বিয়ের ৮ মাস গড়ালো। বেশ ভালোভাবেই তারা কাটাচ্ছিলো তাদের দিনগুলো। কিন্তু হঠাতই তাদের সংসারে নেমে আসলো অশান্তির কালো ছাঁয়া। সম্প্রতি কলেজ শিক্ষিকার প্রয়ানের উদ্ধার হয়েছে এবং সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল যা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে কলেজছাত্রীকে বিয়ে করার প্রায় ৮ মাস ২ দিন পর ওই শিক্ষকের নিথরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (১৪ আগস্ট) সকাল ৭টার দিকে নগরীর বালারীপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে নিথরদেহ উদ্ধার করা হয়।
৩১ জুলাই তাদের বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে বিয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভা/ইরাল হয়। এটি সারা বাংলাদেশে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি করে। খায়রুন স্বামী মামুন হোসেনের সঙ্গে ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নিতেন।
এসপি রিটন কুমার সাহা জানান, নিথরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তারাও প্রাথমিকভাবে মনে করছেন ওই কলেজ শিক্ষক আত্মহনন করেছেন। তবে এ ঘটনায় তার স্বামী মামুন উসকানির অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন।
এসপি আরও বলেছেন যে তারা দম্পতির ভাড়া বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছেন। রাত ২টা ১৭ মিনিটে মামুনকে বাসা থেকে বের হতে দেখা যায়। ওই বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে জেলগেটের আরেকটি সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। মামুনকে কারারক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে।
শিক্ষক মোছা. খায়রুন নাহার গুরুদাসপুর উপজেলার চাঁচকৈদ পৌর এলাকার মো. খায়ের উদ্দিনের মেয়ে ও উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক।
জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খায়রুন নাহার। রাজশাহীর বাঘায় তার প্রথম বিয়ে হয়। পারিবারিক কলহের কারণে তার সংসার বেশিদিন টেকেনি। কিন্তু ওই ঘরে একটা বাচ্চা আছে। পরে ২০২১ সালের ২৪ জুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মামুন হোসেনের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে, ১২ ডিসেম্বর, ২০২১-এ তাদের বিয়ে হয়।
প্রসঙ্গত, কলেজ শিক্ষিকার এমন অকাল প্রয়ান তার পরিবারের পরিজনরা কেউ মেনে নিতে পারছেনা। তার আত্নীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন। একটা মানুষ কখনই এত সহজে তার নিজের জীবনকে শেষ করে দিতে পারেনা, তার পিছনে অবশ্যই কোনো কার আছে।