নড়াইল জেলার লক্ষ্মীপাশা উপজেলায় অবস্থিত আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্বে থাকা মো. ফারুক হোসেনের অফিসে হঠাৎ হাজির হন এক নারী। এরপর ঐ নারী নিজেকে তার স্ত্রী দাবি করেন। গতকাল বুধবার অর্থাৎ ২৫ জানুয়ারি দুপুরের দিকে ঐ নারী তাদের স্বজনদের সাথে নিয়ে ঐ অধ্যক্ষের অফিসে হাজির হয়ে তিনি নানা ধরনের প্রমান দেখানোর কথা বলেন। পরে কলেজ শিক্ষকদের চাপে ওই নারী চলে যান।
স্ত্রী দাবি করা ওই নারী খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার বাসিন্দা।
ওই নারী দাবি করেন, অধ্যক্ষ ফারুক আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে কলেজে পড়তেন। তখন তিনি বিএল কলেজে ছাত্র শিবিরের রাজনীতি করতেন। ১৯৯৮ সালের ১০ মে ফারুকের সাথে আমার বিয়ে হয়। যার রেজিস্ট্রি কাবিন আমার আছে।
ওই নারী আরও বলেন, ফারুক আমাকে পরে বাড়িতে নিয়ে যাবে বলে বাবার বাড়িতে রেখে যায়। এরপরও তিনি নিয়মিত যাওয়া আসা করতেন। ফারুক আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মা প্রয়াত হলে ফারুক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। অনেক পরে জানতে পারলাম সে আরেকটা বিয়ে করেছে। তাই, আমি আমার স্ত্রীর দাবিতে তার কলেজে গিয়েছিলাম।
অধ্যক্ষের দাবি, ‘যে মহিলা অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি হয়তো লোভের বশে আমাকে তার স্বামী দাবি করছেন। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য সে অনাচারে লি”প্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি ১৯৮৩ সালে ওই বাড়িতে লজিং হিসেবে থাকতাম। ওই সময় ওই নারী তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পরে পড়াশোনা শেষ করে বাড়িতে চলে আসি। পরে শিক্ষকতায় যোগদান করি। ১৯৯১ সালে আমার বাবা-মায়ের মাধ্যমে যে মেয়েটিকে বিয়ে করেছি, তিনি বর্তমানে একটি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করছেন।
তবে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে তিনি হঠাৎ করে হয়তো কোনো কারণ ছাড়াই হাজির হননি। বিষয়টি নিয়ে ঐ এলাকার বাসিন্দারা আলোচনা শুরু করেছেন। তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ নারী আইনের আশ্রয় নেবে কিনা সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।