সম্প্রতি এক কলেজ ছাত্রীকে উক্ত কলেজের এক কর্মচারী উক্তত্ত করার বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত ঐ কর্মচারী জাকির হোসেন উক্ত কলেজের এক নারী শিক্ষার্থীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেওয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশের ( police ) হাতে গ্রেফতার হন বলে গনমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্টরা। এই বিষয়ে ভুক্তভোগীর চাচা নিজেই বাদি হয়ে থানা অভিযোগ দায়ের করেন।
নাটোরের গুরুদাসপুরে ( Gurudaspur ) এক ছাত্রীকে অনৈ’তিক প্রস্তাব দিয়ে শ্লীল’তাহানির অভিযোগে কলেজের এক কর্মচারীকে আটক করেছে পুলিশ। এর আগে সকাল ১০টার ( 10 o’clock morning ) দিকে শিক্ষার্থীরা জাকিরকে কলেজের একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়। এ সময় অভিযোগকারীর চাচা বাদী হয়ে মামলা করলে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। কলেজের অধ্যক্ষ আবু সাঈদ ( Abu Saeed ) বলেন, এটি ইভটিজিংয়ের ঘটনা। শিক্ষার্থীদের সমাধান করা হবে বলা হয়েছে। এরপরও তারা প্রতিবাদ করে।
গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তমাল হোসেন বলেন, কলেজে শিক্ষার্থীদের হয়রানির ঘটনায় বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় আসামি গ্রেফতার হওয়ায় কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছি। দুপুর ( Noon ) দেড়টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মতিন ( Abdul Matin ) জানান, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী জাকির হোসেন ভিকটিমকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। মঙ্গলবার ( Tuesday ) (৮ মার্চ ( March )) সকালে ( morning ) তাকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাবও দেয় সে।
পরে ঘটনাটি অন্য শিক্ষার্থীদের জানালে তারা কলেজে বিক্ষোভ শুরু করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। তিনি আরও জানান, পুলিশ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হেসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে অভিযুক্ত জাকিরকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কলেজছাত্রী চাচা জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। পরে মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
উল্লেখ্য, কলেজের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী জাকির হোসেন বেশ কিছু দিন যাবৎ ধরেই ভুক্তভোগীকে উক্তত্ব করে আসছিল। পরে অভিযুক্ত সুযোগ বুঝে ভুক্তভোগীকে কু্প্রস্তাব দিলে সে বিষয়ে কলেজে ব্যাপক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ভুক্তভোগীর চাচা দায়ের করা অভিযোগে জাকির হোসেনকে ( Zakir Hossain ) গ্রেফতার করেছে বলে গনমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল মতিন ( Abdul Matin )।