Sunday , January 5 2025
Breaking News
Home / Countrywide / কলকাতার হাসপাতালের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ

কলকাতার হাসপাতালের সিদ্ধান্ত: বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের পতাকা অবমাননার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কলকাতার জেএন রায় হাসপাতাল। হাসপাতালের কর্মকর্তা শুভ্রাংশু ভক্ত ভারতের সংবাদমাধ্যম পিটিআইকে জানান, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আজ নোটিশ জারি করেছে যে অনির্দিষ্টকালের জন্য জেএন রায় হাসপাতাল কোনো বাংলাদেশি রোগীকে ভর্তি করবে না এবং তাদের চিকিৎসাসেবা দেবে না। বাংলাদেশের নাগরিকদের ভারতবিরোধী আচরণের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য হাসপাতালগুলোর সঙ্গেও আলোচনা চলছে। তাদেরকেও বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল, কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোতে ব্যাপক ভারতবিদ্বেষ দেখা যাচ্ছে। আশা করছি, অন্যান্য হাসপাতালও একই রকম পদক্ষেপ নেবে।”

সম্প্রতি বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারতের পতাকার নকশা মাটিতে এঁকে তার ওপর দিয়ে হেঁটে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বুয়েটের পর এবার রাজশাহী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে ইসরায়েলের পতাকা এঁকে সেটির উপর হেঁটে প্রতিবাদ জানাতে দেখা গেলেও এবার “ইসকন” ইস্যুতে নতুন করে ভারতের পতাকা যুক্ত হয়েছে। মূলত ঘৃণা প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ সংক্রান্ত ছবি ও পোস্ট প্রকাশিত হওয়ার পর তা রীতিমতো ভাইরাল হয় এবং ভারতের অনেক নাগরিক এর তীব্র সমালোচনা শুরু করেন। এর মধ্যেই বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসাসেবা না দেওয়ার ঘোষণা করল জেএন হাসপাতাল।

About Nasimul Islam

Check Also

ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জুতা নিক্ষেপ করে ‘হেইট থ্রু’ কর্মসূচি পালন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রলীগের ৭৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘হেইট থ্রু’ নামে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *