সম্প্রতিক সময়ে প্রায় গণমাধ্যমে ইভটিজিংয়ের বিষয়টি উঠে আসে যেটা শুধু রাস্তা-ঘাটে নয়, ঘটে থাকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানেও। নারীরা খারাপ কাজের হয়”রানির শিকার হয়ে থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও। এবার এক শিক্ষিকাকে শিক্ষা কর্মকর্তার কু-প্রস্তাব দেয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা নিয়ে স্মারকলিপি দিলেন ওই শিক্ষিকার বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এই ইভটিজিং ও মানসিক নি”র্যা/তনের অভিযোগ উঠেছে, যেটা নিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষকরা।
সোমবার (২০ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সালাউদ্দিন রঞ্জু স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৫ জুন ওই নারী শিক্ষিকা উপজেলায় একটি সরকারি কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য প্রশিক্ষণ নিতে গেলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবু তালেব তার পাশের চেয়ারে বসে ওই নারী শিক্ষককে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন। একপর্যায়ে তাকে তার রুমে যাওয়ার কথা বলেন। সেসময় তিনি মঞ্চে উপবিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেখিয়ে নানান উক্তি করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এনডিসি এসএম রাসেল ইসলাম নূর, বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা, শিফট ইনচার্জ সালমা আক্তার, শিক্ষক অরবিন্দ কর্মকারসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা জানান, তার বিদ্যালয়ের নারী শিক্ষককে অপমান করার জন্য চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা না নিলে মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এর আগে গত ১৮ জুন নগরীর পশ্চিম দেওভোগ এলাকার বিদ্যানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফতুল্লা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ অভিযোগ উল্লেখ করে গত ১৫ জুন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১০ দফা কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বিদ্যানিকেতনের একজন পুরুষ ও একজন মহিলা শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। একপর্যায়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তালেব ওই নারী শিক্ষকের পাশের চেয়ারে বসে বিভিন্ন কু-প্রস্তাব দেন।
তবে এই ঘটনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে এসএম আবু তালেব যিনি সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে অন্য একজন ব্যক্তি তার ফোন রিসিভ করেন এবং তিনি বলেন, তিনি তার অসুস্থ মাকে নিয়ে অনেক ব্যস্ত রয়েছেন, তাই এই মুহূর্তে কথা বলতে পারবেন না। এ বিষয়ে পরবর্তীতে তিনি কথা বলবেন।