বাংলাদেশে ( Bangladesh ) সম্প্রতি বেশ কিছু উল্লেখ যোগ্য বড় বড় দুর্ঘটনার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ নৌ পথ। এই দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে প্রান হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। সম্প্রতি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনায় আরো একটি নৌ দুর্ঘটনায় কবলিত অনেকে এখনো নিখোজ রয়েছে। যাদের উদ্ধার কার্যে এখনো তৎপর ভুমিকা পালন করছে উদ্ধার কর্মীরা।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর মোহনায় একটি লাইটার কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। এতে ৭ জন নাবিকের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
শনিবার (১৯ মার্চ) সকালে ( morning ) এ ঘটনা ঘটে। এমভি টিটু-১৪ ( MV Titu-14 ) নামের জাহাজটির মালিক আবুল ( Abul ) খায়ের গ্রুপ।
জানা গেছে, জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙর থেকে সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পার্কি বিচের ( Parky Beach ) কাছে একটি বালির বজরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। একপর্যায়ে ভোর সাড়ে চারটার ( Four o’clock ) দিকে জাহাজটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড ( Coastguard ) সদস্যরা সেখানে গিয়ে ১৩ জন নাবিকের মধ্যে ৬ জনকে উদ্ধার করে। তবে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ৭ জন।
কোস্টগার্ড ( Coastguard ) পূর্ব জোনের ভারপ্রাপ্ত জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ ( Fayez Uddin Ahmed ) জানান, ভোর ৪টার দিকে এমভি টিটু-১৪ ( MV Titu-14 ) নামের একটি লাইটারেজ জাহাজ ডুবে যায়। চট্টগ্রাম বন্দরের ( Chittagong port ) বাইরের বন্দরের পারকি সৈকত সংলগ্ন এলাকায় ১৩ নাবিক নিয়ে জাহাজটি ডুবে যায়। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ৬ জনকে উদ্ধার করি। আমাদের উদ্ধার অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে সংগঠিত নৌ দুর্ঘটনার বিষয়কে কেন্দ্র করে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেছেন বিশ্লেষকরা। একই সঙ্গে দেশের সব নদী খনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক ( Md. Omar Farooq ) বলেন, আরেকটি লাইটারের ধাক্কায় এমভি টিটু-১৪ ( MV Titu-14 ) ডুবে যায়। জাহাজে ১৩ জন নাবিক ও ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও সাতজন এখনো নিখোঁজ রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।