নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১০টা ৫০ মিনিটে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দিনব্যাপী পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে প্রান্তিক মানুষের খোঁজখবর নেন এবং কম্বল বিতরণ করেন মেয়র ইলিয়াস হোসেন। রাতে তিনি পৌরসভার সতীঘাট এলাকায় শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। কম্বল বিতরণের সময় তিনি ঠান্ডায় কাঁপছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে গাড়িতে উঠতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মেয়র ইলিয়াস। এ সময় মেয়রকে দ্রুত জলঢাকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মেয়র ইলিয়াসের মৃত্যুর খবরে পৌর কর্তৃপক্ষ, জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীসহ অগণিত মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসেন। সারা শহরে শোকের ছায়া। নগরীর বাসস্ট্যান্ডে মেয়রের বাসায় তাকে দেখতে আসেন নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাদ্দাম হোসেন পাভেলসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
তৃণমূল থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উঠে এসেছেন মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, স্বেচ্ছাসেবী ও ধর্মীয় সংগঠনের সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি জলঢাকা পৌর আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৪ সালে দ্বিতীয় পৌর নির্বাচনে তিনি জলঢাকা পৌর মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি পাঁচ বছর সফলভাবে পৌরসভা পরিচালনা করেন। তিনি মানুষের কাছে মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এরপর ২০২০ সালে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু।
মৃত্যুকালে মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শনিবার দুপুর আড়াইটায় জলঢাকা স্টেডিয়াম মাঠে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাদ আচারের নিজ গ্রাম উত্তর কাজিরহাটে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হবে।