ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক ছাত্রলীগ নেতাদের হাসপাতালে কিভাবে দেখতে গেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিএনপি নেতা জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ‘ডিএমপির কমিশনার সাহেব, আপনি কী করে একটি রাজনৈতিক দলের সংগঠনের নেতাদের হাসপাতালে দেখতে যান? কেন আপনি (ডিএমপি কমিশনার) প্রজাতন্ত্রের প্রশাসনের একজন কর্মচারী হিসেবে, একজন কর্মকর্তা হিসেবে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মারামারি করে যারা আহত হয়েছেন,দাঁত পড়ে গেছে তাদের দেখতে যান?
বুধবার দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক এক অবস্থান কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘ডিএমপি কমিশনার, আপনার সক্রিয় বাহিনী যখন আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গু/লি করে হ/ত্যা করেছে, আপনি কি একদিনের জন্যও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন?
আমাদের অনেক নেতাকর্মী রাজপথে আপনার বাহিনীর সদস্যরা পা ভেঙ্গে দিয়েছে, কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে, মাথা ফাঁটিয়ে দিয়েছে, কয়েকদিন হাসপাতালে থাকলেও প্রশাসন বা ডিএমপির কোন কর্মকর্তা নেই একটি দিনের জন্যও তাদের দেখতে যাননি।
খুব বেশি সময় নেই, অবস্থা খারাপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এইমাত্র এডিসি হারুন (হারুনুর রশীদ) ও সানজিদা (সানজিদা আফরিন) খেলা শুরু হল। আমাদের বা/চ্চারা গু/লি খাবে আর আপনি (ডিএমপি) হাসপাতালে যান যারা পারিবারিক কলহের কারণে আজ যারা দোষী সাব্যস্ত হবেন কিনা জানি না।এটা কি গণতন্ত্রের নমুনা?এসব খেলা বন্ধ করতে হবে।
‘
একতরফা নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে ফারুক বলেন, “এখন শেখ হাসিনা বলছেন, ২৪ ঘণ্টা পাড়ি আমেরিকা যাওয়ার দরকার নেই। দেখলাম তিনি আবার সেলফি তুলেছেন, আমিও কিছু বুঝতে পারছি না। রাজনীতির সূচনা বোঝা যায় না। যখন পায়ের তলায় মাটি থাকে না, যখন কবরের পাশ দিয়ে হেঁটে ভয়ে গান করেন, তখন আপনার এবং আপনাদের নেতাদের একই অবস্থা।
যতই চেষ্টা করুক না কেন বিএনপিকেই নির্বাচন করবেন! এত সহজ আর নয়। একতরফা নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। এখনো সময় আছে, আপনি পদত্যাগ করুন।
সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানার সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, উলামা দলের শাহ নেশারুল হক, আলমগীর হোসেন, দেশ বাঁচাও মানব বাঁচাও-এর রফিকুল ইসলাম রিপন, মীর হোসেন জাহান, যুবদলের নেতা জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। এবং অন্যরা বক্তৃতা দেন।