আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহনের জন্য কাজ করেছে বর্তমান সরকার ( Government )। আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু নিরেপক্ষ করতে সরকার ( Government ) পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে বলেন জানান সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। তিনি বলেন সরকার ( Government ) আগামী নির্বাচন করতে প্রস্তুত সেজন্য সরকার ( Government ) রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে যেকোন আলোচনার করতে রাজি।
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপিকে ( BNP ) ছাড় দিতেও প্রস্তুত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ( Awami League. ) দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহর ( Kazi Zafar Ullah ) মতে অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে বিরোধী দলে যেতেও প্রস্তুত তারা। আর সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ( Mirza Azam ) বলেছেন, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে চান তারা। তবে সংবিধানে কাটাছেঁড়ার সুযোগ নেই।
গত ৭ মে আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী সভায় বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার ইঙ্গিত দেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তাদের রাজনৈতি কর্মকাণ্ডে তাদের বাধা না দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
কিন্তু এরপরও নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে দুই দলের অবস্থান অপরিবর্তিত। বেড়েছে রাজনৈতিক উত্তরপাও। ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিএনপিকে ছাড় দিতেও প্রস্তুত আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ তার কাঠামো থেকে বেরিয়ে আসতে চায় না এটা ঠিক নয়। তবে .লীগ খুবই আন্তরিক। প্রধানমন্ত্রী আমাদের কাছে স্পষ্ট করেছেন যে, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ করাই তার একমাত্র লক্ষ্য এবং এই অঙ্গীকার বজায় রাখতে আওয়ামী লীগকে বিরোধী দলের জায়গা নিতে হলে তিনি প্রস্তুত।
এই ছাড় বা আলোচনার সুযোগ থাকলেও সংবিধান সংশোধন বা পরিবর্তনের কোনো সুযোগ দেখছেন না নেতারা।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা বা নির্বাচনের কাঠামো পরিবর্তনের কোনো সম্ভাবনা আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ সরকার তাদের (বিএনপি) নির্বাচনে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। কিন্তু কাউকে আনতে হলে সংবিধান পরিবর্তন, তাদের জন্য নতুন সংবিধান তৈরি করে পাস করার প্রয়োজন হতে পারে না।
দুই নেতা বলছেন, নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক চিরতরে মুছে দিতে আওয়ামী লীগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায়।
প্রসঙ্গত, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ করতে সরকার বিরোধী দলের সাথে আলোচনা করতে রাজি। আর নির্বাচনে অংগ্রহন করতে বিএনপিকে নিয়ে আসার জন্য তাদের আন্তরিক টেষ্টা থাকবে। তবে সংবিধানের পরিবর্তনের কোন সুযোগ নেই বলে জানান সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।