স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, বন্যা কবলিত জেলায় একদিনে ২৬ জনের প্রয়ান হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে, ২৮ জনের প্রয়ানের খবর পাওয়া গেলেও পরে সংশোধন করে, বিভাগটি ২৬ জনের প্রয়ানের খবর দিয়েছে। এর আগে, ১৭ মে থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মোট ৪২ জনের প্রয়ান হয়েছিল, স্বাস্থ্য বিভাগ অনুসারে। বন্যায় প্রয়ানের সংখ্যা দাঁড়াল ৬৮ জনে।
বন্যার পানি কমলেই এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। তিনি বলেন, বন্যা শেষ হলে কোনো পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষা নিতে কোনো বাধা থাকবে না। শিক্ষার্থীরা অনায়াসে পরীক্ষা দিতে পারবে। তারপর পরীক্ষা দিতে হবে। শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত ফল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আজ পদ্মা সেতুতে বাংলাদেশের আস্থা জেগেছে। পদ্মা সেতুকে অনেকে অনেক কিছু দিয়ে ব্যাখ্যা করেন। শেখ হাসিনা সব বাধা অতিক্রম করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছেন। ইনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো: মিলন মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জে আর ওয়াদুদ, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত বরণ দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এছাড়া বন্যায় বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন। এর মধ্যে ২,৮৯৫ জনের ডায়রিয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৭ মে থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ময়মনসিংহ বিভাগে ১৮ জন, রংপুর বিভাগে ৪ জন এবং সিলেট বিভাগে ৪৬ জন প্রয়াত হয়েছেন। প্রয়াতদের মধ্যে সিলেট জেলায় ১৬, সুনামগঞ্জে ২৬, হবিগঞ্জে একজন, মৌলভীবাজারে তিনজন, ময়মনসিংহে পাঁচজন, নেত্রকোনায় পাঁচজন, জামালপুরে পাঁচজন, শেরপুরে তিনজন, কুড়িগ্রামে তিনজন ও লালমনিরহাটে একজন রয়েছেন।