তোফায়েল আহমেদ হলেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবীদ। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় শিল্প ও বাণিজ্য মনত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন গত ১৪ বছর ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একই গান গাইছেন, একই বক্তব্য দিচ্ছেন যে রাজপথ দখল করবেন।
গত ১৪ বছর ধরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একই গান গাইছেন, একই বক্তব্য দিচ্ছেন রাজপথ দখল করবেন। রাজপথ দখল করা এত সহজ নয়। আমরা মহাসড়ক দখল করেছি। ১৯৯৫ সালে মাত্র ১৫ দিন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি।
আমরা একটি নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের প্রতিবাদ করেছি। আমরা আন্দোলন করে বিএনপিকে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য করেছি। ১৯৬৯ সালে আমরা প্রতিবাদ করে আইয়ুব খানকে ক্ষমতাচ্যুত করি। একে আন্দোলন বলে। আওয়ামী লীগ মনে রাখার মতো পুরনো রাজনৈতিক দল। যার ভিত্তি তৃণমূল পর্যন্ত। ‘
রোববার (৭ আগস্ট) রাতে ভোলার বাংলাবাজার স্বাধীনতা জাদুঘর প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন। সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে তোফায়েল আহমেদ আরও বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য ও বক্তব্য ছাড়া কোথাও কোনো আন্দোলন দেখা যায় না। তাই বিরোধী দল হিসেবে এই বক্তব্য দিয়ে তারা তাদের দলকে টিকিয়ে রাখবে এটাই স্বাভাবিক।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি একটি বৈশ্বিক সংকট। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বিশ্বে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। আমরাও যে এই সংকটের মধ্যে আছি তা অস্বীকার করার উপায় নেই। আমরা আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার কারণে বিরোধীতা সত্ত্বেও পদ্মা সেতু নির্মিত হয়েছে। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। আজ আমি নিজেই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে মাত্র পাঁচ ঘণ্টায় আমার জন্মভূমি ভোলায় এসেছি। এটা আমি কখনো কল্পনাও করিনি।
প্রসঙ্গত, শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালীন অবস্থায় তিনি সততা ও নিষ্ঠার সহিত দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। মির্জা ফখরুল হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনিও দলের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।