ঢাকাই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনির একমাত্র অভিভাবক হিসেবে বেঁচে ছিলেন তার নানা শামসুল হক গাজী। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে তিনি অসুস্থ হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
প্রিয় নানাকে হারিয়ে দুঃখের সাগরে ডুবে যাচ্ছেন পরী। নানার মৃত্যুর শোক কোনোভাবেই কাটিয়ে উঠতে পারছেন না। সে গিয়ে নানার কবরের পাশে বসে। সেখান থেকে উঠে আসতে চায় না।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানার কবরের পাশে বসে থাকা নিজের কিছু ছবি প্রকাশ করে অভিনেত্রী বলেন, আগে যখনই নানুবাড়ি গিয়েছি, নির্দিষ্ট তারিখে ঢাকায় ফিরেছি। বাড়ির সবাই দু-একদিন থাকতে বললেও থাকেনি।। আর এখন মনে হচ্ছে নানুর কবর ধরে সারাদিন সারারাত যদি বসে থাকতে পারতাম! কিন্তু পারি না।
নানার কবরে বেশ কিছু ফুলের গাছ লাগিয়েছেন পরীমনি। সেই গাছে জল দেওয়ার সময় তিনিও তার উপলব্ধি প্রকাশ করেন। খুব সহজেই বললেন, এই বাড়ি (কবরকে ইঙ্গিত করে) একদিন আমারও শেষ গন্তব্য হবে!
প্রিয় নানা ভাইয়ের চাদরটা যত্ন করে রেখে দিয়েছেন পরী। এই নায়িকা চান, একদিন সন্তান পদ্মকে চাদরটি পড়িয়ে দেবেন। পরীমণির ভাষায়, জীবনের আসা যাওয়ার মধ্যে এই মায়াটুকুই তো সব।
প্রসঙ্গত, পরীমণির নানাবাড়ি পিরোজপুরে। তার নানা শামসুল হক গাজী ছিলেন ভগীরথপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। ছোটবেলায় মা-বাবা মারা যাওয়ার পর নানা বাড়িতেই বেড়ে ওঠেন তিনি।
নানাবাড়িতে থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। শামসুল হক গাজীর মৃত্যুর পরে তাকে নিজ গ্রামেই দাফন করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন পরীমণি।