Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / Entertainment / তখন বুঝিনি এত  দিন পর বুঝতে পারি, আমি আসলে নিষিদ্ধ: কনকচাঁপা

তখন বুঝিনি এত  দিন পর বুঝতে পারি, আমি আসলে নিষিদ্ধ: কনকচাঁপা

কনকচাঁপা কে চিনে না এমন মানুষ বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না।  তিনি ছোটবেলা থেকেই গানের জগতের সাথে সম্পৃক্ত।  বিশেষ করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতের জন্য গান গেয়ে  সারা দেশের মানুষের মাঝে তকমা অর্জন করেছে কনকচাঁপা। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিদেশেও রয়েছে তার সুনাম।

 

বলা যায় বাংলা চলচ্চিত্রের গানের এক অধ্যায়ের নাম কনকচাঁপা। ‘স্বর্গ থেকে আসা ভালোবাসা’, ‘তুমিই আমার একমাত্র’, ‘অনেক চেষ্টার পর আমি’, ‘অনন্ত ভালোবাসা তুমি আমাকে দাও’, ‘তুমি আমার জীবনের ভাবনা’, ‘আকাশ ছুঁয়েছে মাটি… কঙ্কচাঁপার মুখ থেকে বাংলাদেশের মানুষের মুখে। জনপ্রিয় হওয়া এসব গানের তালিকা দীর্ঘ।

 

কনকচাঁপার শৈল্পিক জীবন এবং পারিবারিক জীবন একসাথে চলে। তিনি ১৯৮৪ সালে বিয়ে করেন, সেই বছর থেকে তার কর্মজীবন শুরু হয়। বলা হয়ে থাকে প্রতিটি সফল পুরুষের পেছনে একজন নারী থাকে। এদিকে, কনকচাঁপা তার সফল ক্যারিয়ারের কৃতিত্ব তার জীবনসঙ্গী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক মইনুল ইসলাম খানকে দেন।

 

সম্প্রতি জাতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কনকচাঁপা বলেন, আমি মইনুল ইসলাম খানকে আমার জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কখনো দেখা যায়নি, স্বামী তার ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তার স্ত্রী।একজন পুরুষ তার স্ত্রীকে কতটা অক্লান্তভাবে উৎসাহ দেয়, তাকে না দেখলে বোঝা যায় না।আমি মানুষের জন্য কাজ করি, সেই জায়গা থেকেই তিনি রাজনীতিকে উৎসাহিত করেছেন।

 

আগামী নির্বাচন নিয়ে আপনার কোনো পরিকল্পনা আছে কি? কনকচাঁপা বলেন, আসলে আমি রাজনীতিবিদ নই। আমি মানুষের সেবক। এটা আমি আমার মায়ের কাছ থেকে শিখেছি। কিন্তু একটা কথা আছে, আমিও ফকির হলাম, দেশে দুর্ভিক্ষ হল। আমিও বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলাম, এমন অবস্থা দাঁড়ায়… এখন পরিস্থিতি যেমন দাঁড়িয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে আমি বাংলাদেশে অলিখিত নিষিদ্ধ, রেডিওতে আমার গান বাজানো হয় না। আমি নিয়মিত জাতীয় দিবসে গান গাইতাম- ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর টিভি চ্যানেলে গর্বের দিনগুলোতে। এখন আর ডাকাডাকি নেই।

 

কখন থেকে আপনার সাথে এমন হচ্ছে? তিনি বলেন, ২০১৮ সালে সিরাজগঞ্জে মোহাম্মদ নাসিমের (আওয়ামী লীগ নেতা) বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। সেখানে আমি শূন্য ভোটে ব্যর্থ। আমিও আমার ভোট নাসিম সাহেবকে দিয়েছি। যাই হোক, এইভাবে আমাকে নিষেধ করো হয়েছে, এখন শুধু বিদেশ যাই, গান করি। কে-ভাইরাস আমাকে একভাবে সাহায্য করছে। সে সময় যদি কে-ভাইরাস না থাকত এবং দেশে অনেক শো হতো এবং আমি বসে থাকতাম, আমার মনে হয় মানসিক ভাঙ্গন হয়ে যেত। সমস্ত শিল্পী ক- ভাইরাসের মধ্যে খেলা এবং ভ্রমণ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তখন ভাবলাম, সবাই বন্ধ। পরে এখন যখন সবাই শোতে ফিরে আসছে, এত দিন পর বুঝতে পারলাম, আমি আসলে নিষিদ্ধ।

 

কনকচাঁপা বলেন, এই মুহূর্তে আমার কোনো গান নেই। আর বাংলাদেশে কোনো কনসার্ট নেই। তবে  মানুষ আমাকে আগের মতো ভালোবাসে, দিন দিন ভালোবাসা বাড়বে আরো বড়বে। আমিও সেটা অনুভব করি। বিদেশে আমার অনেক কনসার্ট আছে। এগুলো নিয়মিত করি।

 

প্রসংগত, আগের মত বাংলাদেশ গানের আসর বা কনসার্ট হয়না।  আর যদিও দু-একটা হয় সেগুলো বর্তমান যুগের শিল্পীদের নিমন্ত্রণ করে অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। যার জন্য বহুদিন ধরে বাংলাদেশে কোন অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারেনি কনকচাঁপাসহ ওই সময়ের অনেক শিল্পীরা।  বর্তমান সময়ে যত সিনেমা নির্মাণ হচ্ছে সেসকল সিনেমায় বর্তমান সময়ের শিল্পীদের দিয়ে গান কভার করা হচ্ছে যার জন্য স্টুডিও থেকে ওঅনেকদিন ডাক পাননি কনকচাঁপা।

 

About Nasimul Islam

Check Also

অবশেষে তারেক রহমানের সঙ্গে মৌসুমীর সেই আলোচিত ছবি নিয়ে মুখ খুললেন ওমর সানী

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানের সঙ্গে ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *