প্রায় প্রতিবছরই প্রাকৃ্তিক দুর্যোগের ফলে নানা বিপত্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। ভয়াবহ দুর্যোগে ঘর-বাড়ি হারিয়ে রীতিমতো নিঃস্ব হতে হয় অনেককে। আর সেই ধারাবাহিকতার মধ্যদিয়ে সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় হানা দিয়েছে প্রাকৃ্যিক দুর্যোগ নামে এক আতঙ্ক। গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ বন্যায় যেন পাল্টে গেছে দেশের পরিস্থিতি। তবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের সাহায্যে কোনো ত্রুটি রাখছে না সরকার।
এদিকে টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক না থাকায় পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। গতকাল বিকেলে মন্ত্রী বলেন, বন্যা পরিস্থিতি ভালো নয়। আমি কোভিড-এ আক্রান্ত হওয়ায় এলাকায় যেতে পারছি না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে টেলিফোন ও মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোনে তাকে পাওয়া যায়নি। মন্ত্রী বলেন, ডিসি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ডিসিকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার দুই ইউএনওর সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রয়েছে। তারা বলেন, মানুষ চাল থাকলেও খাদ্য সংকটে রয়েছে।
এম এ মান্নান বলেন, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে কমবেশি সবার ঘরেই চাল থাকে। কিন্তু চাল থাকলেও তারা রান্না করতে পারে না। ঘর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আগুন জ্বালানোর উপায় নেই। গ্যাস সিলিন্ডার সংকটও দেখা দিয়েছে। পানীয় জলেরও সংকট রয়েছে। বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ নেই। পরিবহন ব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসাসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ঢালিউডের এক ঝাক তারকারাও। তারকাদের মধ্যে অনেকেই দেশের বাইরে থাকলেও, প্রতিনিয়ট দেশের খবর রাখছেন তারা।