মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন যিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছিলেন, তিনি বরগুনা ছাত্রলীগকে পেটানো প্রসঙ্গে বলেন, বরগুনায় ছাত্রলীগকে নিয়ে যে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে সেটা কোনভাবেই কাম্য নয়, খুবই দুঃখজনক। এদিকে প্রশাসন ছাত্রলীগের উপর তাদের সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে, আর এই ঘটনায় সংসদ সদস্যকে সামনে রেখে ঘটনা ঘটানো হয়, যেটা কোনোভাবেই আশা করা যায় না। ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা যদি কোন অপরাধ করে থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া যেত। সেখানে উপস্থিত সংসদ সদস্য প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বলেছিলেন কেউ দোষী থাকলে তাদের আইনের কাছে সোপর্দ করতে। কিন্তু প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সেই ধৈর্য্যটুকুও হয়নি।
গতকাল দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। ২০০৬-২০১১ সময়কালে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা এই ছাত্রনেতা বলেন, শোক দিবসের কর্মসূচিকে ঘিরে বুয়েটের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। যারা শোক দিবস প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছে তারা মৌ”লবাদী দল। আমি মনে করি বুয়েট এখন জ/”ঙ্গি সংগঠনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে তারা কাকে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়? মৌ’লবাদ, সা”’ম্প্রদায়িক শক্তি জামায়াত-শিবির এদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েটে গিয়ে মুক্তবুদ্ধি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা বলে। কিন্তু তারা বুয়েটে শোক দিবসের কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। তাহলে আমরা কী মনে করব? আমরা মনে করব তারা জ’/’ঙ্গি বা জামায়াত-শিবিরের ইন্ধনে কাজ করছে। তিনি বলেন, আবরার হ’/’ত্যার জন্য ছাত্রলীগের কর্মীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। আমরা চাই না কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো অপ্রীতিকর, স/”ন্ত্রাসী বা নৈরাজ্যকর ঘটনা ঘটুক।
অতীতে ছাত্রলীগ এ ধরনের স’/ন্ত্রাস বা নৈরাজ্যের সঙ্গে জড়িত ছিল না। কিন্তু অতীতে বুয়েটে ছাত্রদলের গু”লিতে প্রয়াত হন সাবিকুন্নাহার সনি। ক্যাম্পাস তখন স”ন্ত্রাসের অভয়ারণ্য ছিল। এখন ক্ষমতায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। কিন্তু এখন কোনো ক্যাম্পাসে গু”লির শব্দ শোনা যায় না। শ্রেণীকক্ষে কোনো স”ন্ত্রাস নেই।
মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন আরো যোগ করে বলেন, ছাত্রলীগে যদি কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রে যারা অভিযুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাক. এই ঘটনায় ছাত্রলীগের কেউ বা কারো সংশ্লিষ্টতা যদি থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এবিষয়টি নিরপেক্ষ ভাবেই দেখা হবে এবং এটা অস্বীকার করার কোন কিছুই নাই।