মানুষের নীতিবোধ দিনকে দিন এতটাই অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে যা কল্পনারাও করা যায় না। পৈচাশিক মন মানসকিতা মানুষকে পুরোপুরিভাবে গ্রাস করে ফেলেছে। যার ফলাফল প্রতিক্রিয়াস্বরুপ বর্তমানে বিভিন্ন সময়ে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি তেমনি একটি ঘটনা ঘটেছে যশোরে। এক কলেজছাত্রীর গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় শরিফুল ইসলাম গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ সদস্যরা।
যশোরে এক কলেজছাত্রীর গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করা এবং তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির ঘটনায় শরিফুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৬ সদস্যরা। গতকাল শনিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে চাউলিয়া থেকে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করে।
শরিফুল সদর উপজেলার চাউলিয়া গ্রামের রাজ্জাক দফাদারের ছেলে। গ্রেপ্তারের পর তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে একটি মামলা দিয়ে শনিবার বিকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শরিফুল আদালতে এই ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আরটিভি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম।
ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রীর বাবা মামলায় উল্লেখ করেছেন, ১ জুলাই তিনি ও তার স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। সকাল ১০টার দিকে তার মেয়ে বাড়ির ছাদে কাপড় শুকানোর জন্য যায়। এ সময় প্রতিবেশীর ছাদ থেকে একটি মেমোরি কার্ড তার মেয়ের দিকে ছুড়ে দিয়ে শরিফুল বলে ‘মেমোরি কার্ডে তোর নগ্ন ভিডিও এবং ছবি আছে। দেখে মেমোরি কার্ড ফেরত দিবি এবং আমার সঙ্গে দেখা করবি।’ তার মেয়ে ভয়ে শরিফুলের সঙ্গে দেখা করে না। পরে তার মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল দিয়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দেয়।
শরিফুল তার বাড়ির মোবাইল নম্বরে নিয়মিত অশ্লীল ম্যাসেজ দিতে থাকে এবং তার মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে চায়। সামাজিক ভাবে মানসম্মানের ক্ষতি করবে বলে হুমকি দেয়। সর্বশেষ গত ৭ জুলাই সে ফের ম্যাসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেয়। ম্যাসেজটি তিনি ও তার স্ত্রী দেখেন এবং র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের অভিযোগ করেন।
র্যাব সদস্যরা শনিবার দুপুরে চাউলিয়া থেকে শরিফুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রসঙ্গত, নারীরা হলো মায়ের জাত। তারা উচ্চ সম্মানের অধিকারী। সেই নারীকেই মানুষ করছে অবমাননা। অপরাধ করলে ছাড় দেওয়া হয় না কাউকেই। একজন নারীকে অপমান করা দন্ডনীয় অপরাধ। কতটা পৈচাশিক মনের অধিকারী মানুষ একজন নারীর গোপন ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার হু/মকি দিতে পারে।