বর্তমান সময়ে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সেই সাথে তার চিকিৎসার দাবি নিয়ে বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া ২০২৪ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না সেটা অনেকটা নিশ্চিত। এবার তার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অনেক আ.লীগের নেতা নানা ধরনের অভিযোগ তুলেছেন। এবার তার বিষয়ে কিছু কথা বলেছেন সমালোচক সুলতান মির্জা। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্টও দিয়েছেন, তার সেই পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হয়েছে-
খালেদার চিকিৎসার বিষয়ে উদারতার সুযোগ নেই। এইজন্য যে, ২১ শে আগষ্ট রাষ্টীয় মদদে চালানো হা”মলার পরেও খালেদা সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন শেখ হাসিনা ভ্যানিটি ব্যাগে করে আর্জেস গ্রে”নেড নিয়ে গিয়েছিল জনসভায়, সেই খালেদার চিকিৎসার জন্য সাজা স্থগিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেই উদারতা দেখিয়েছেন তা অবিস্মরনীয় অন্তত আওয়ামী সমর্থক হিসেবে আমার কাছে।
তবে সরকারের পক্ষ থেকে সওদা হতে পারে, খালেদা জিয়া এখন যেভাবে চিকিৎস্যা নিচ্ছেন নিতে থাকুক, খালেদা জিয়া সাধারন কোন গৃহবধু নন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, পলিটিশিয়ান, কাজেই উনার চিকিৎস্যায় পলিটিক্স না থাকাটা হবে অন্যায়, আর তাই খালেদার পক্ষ থেকে সরকারের কাছে যারা বিদেশে চিকিৎস্যার জন্য বলছে বক্তব্য বিবৃতিতে, আমার দৃষ্টিতে সমস্যা নাই, খালেদা বিদেশে যাক, তবে তফসিল ঘোষনার পরে ৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে, তার দল কে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কঠোর নির্দেশ দিয়ে তারপরে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাক, আরো উন্নত মানের জন্য মংগল গ্রহে যাক এতে সমস্যার কিছু নাই।
গুরুজি বলেছেন, মানুষ্য দুনিয়াতে আসে চলে যাওয়ার জন্য, সমাজ পরিবর্তনশীল সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে, দুই দিন আগে ও পরে, অবাক বিষ্ময়ের কিছু নেই। খালেদার বয়স হয়েছে, উনি দেশকে যেই জঞ্জাল বানিয়েছে, সেই জঞ্জালের ভার আরো অনেক বছর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ কে বহন করতে হবে, কাজেই এমন এক মহিলার সুচিকিৎসার জন্য শর্ত রাখলেও খুব বেশি পাপ হয়ে যাবে, এমনটা ভাবনার সুযোগ নাই।