দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি বর্তমানে অনেকটা নেতৃত্ব শূন্য অবস্থায় রয়েছে এবং এদিকে যদি কোনো জটিলতার সৃষ্টি না হয় তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর প্রায় ১৫ মাস বাকি রয়েছে তবে প্রশ্ন উঠেছে বিএনপি নেতৃত্বে কে থাকবেন। এদিকে বর্তমানে চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব কে দিবেন সে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তবে আন্দোলনের নেতৃত্বে কে থাকবেন জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সব আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন ফখরুল ইসলাম। সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে গুলশানে কাজী জাফর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে সরকার উৎখাতে গণআন্দোলন শুরু করা হবে। সংলাপের আলোচনা তুলে ধরে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারবিরোধী গণআন্দোলনের পয়েন্ট নির্ধারণ, খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন ইসি গঠন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল সংলাপে অংশ নেয়। মূলত সরকারবিরোধী প্লাটফর্মকে শক্তিশালী করতেই বিএনপি এই সংলাপ করছে।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে খারাপের দিকে, তাছাড়া তিনি প্যারোলে মুক্তি প্রাপ্ত হয়ে বিশেষ বিবেচনায় বাসায় রয়েছেন। কিন্তু তার শাস্তি বা দণ্ড মওকুফ হয়নি, তাই তিনি সরাসরি রাজনীতিতে ফিরতে পারছেন না। এদিকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান দণ্ডপ্রাপ্ত হয় বিদেশে রয়েছেন, যিনি সক্রিয়ভাবে দেশে ফিরে রাজনীতিতে অংশ নিতে পারছেন না। তাই চলমান আন্দোলনের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে যে সমস্ত শীর্ষ নেতা রয়েছেন তাদের নেতৃত্বে আপাতত আন্দোলন হবে এমনটাই মনে করা হচ্ছে।