ভালবাসা একে অপরের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে। সম্পর্কের মধ্যে যেমন সুখ আছে তমেন বিচ্ছেদেও আছে বেদনা। ভালোবাসার মানুষটিকে যেমন বলতে হয় সে কথা, তেমনই কোনো সম্পর্ক কখন আর ভালোবাসার নেই তাও বুঝতে হয়।
অনেক সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা আসে। এমন পরিস্থিতিতে সম্পর্ককে আর টেনে না আনাই ভালো। দুজনের বিচ্ছেদ হলেও সুখী হওয়া সম্ভব। যদিও ভালোবাসলে কেউ কেউ খুঁজে পান না ইতি রেখাটি। তাই কীভাবে বুঝবেন এই সম্পর্ক থেকে কখন বেরিয়ে যাওয়াই এক মাত্র পথ? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
১. সম্পর্কের সময় কেউ যদি মানসিক বা শারীরিকভাবে নির্যাতিত হয়, তাহলে দ্বিতীয় চিন্তা না করে বেরিয়ে আসুন। পুরুষ বা মহিলা যেই হোক না কেন, আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে মৌখিক, আর্থিক, শারীরিক বা মানসিকভাবে কষ্ট দেয়, অবিলম্বে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন এবং বিশেষজ্ঞদের সাহায্য নিন।
২. ভালবাসার বিপরীত হল শীতলতা। সঙ্গীর উত্থান-পতন বা দৈনন্দিন জীবন যদি আপনার মনে কোনো ছাপ না ফেলে, তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্কের কোথাও একটা দূরত্ব রয়েছে। এমন হতে পারে যে আপনার সঙ্গী বুঝতে পারছেন না আপনি কি বলতে বা শুনতে চাইছেন। যদি উল্টোটাও সত্যি হয়, তা হলে বুঝতে হবে বিচ্ছেদের সময় হয়তো এসে গিয়েছে।
৩. আপনি যদি দেখেন যে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য আপনাকে আপনার মূল্যবোধ বিসর্জন দিতে হবে, তাহলে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসাই ভালো। আপনার মূল্যবোধের সাথে আপস করে একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা নিজের সাথে ক্রমাগত মিথ্যা বলার মতো।
৪. এত কিছুর পরেও শেষ কথাটি হলো ভালোবাসা। মানুষ আর যাই বুঝুক না বুঝুক, ভালবাসার অনুভূতি আছে না নেই তা স্পষ্ট বুঝতে পারে। যদি দু’জনের কারো মধ্যে এই ভালোবাসা না থাকার অনুভূতি এসে থাকে, তাহলে সেই সম্পর্ক রাখারও বিশেষ মানে থাকে না। তবে মনে রাখবেন প্রতিটি সম্পর্ক আলাদা। এর সমীকরণও অনন্য। তাই আপনার এবং আপনার সঙ্গীর ভালোর কথা চিন্তা করে একসাথে থাকার এবং একসাথে না থাকার সিদ্ধান্ত নিন।