রাজধানীর বেইলি রোডে একটি বহুতল ভবনে অ/গ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের ২ জন রয়েছেন। তারা হলেন ভূঁইগড় পশ্চিমপাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে শান্ত ও নারায়ণগঞ্জের কুরবান আলীর মেয়ে রিয়া।
শান্ত বেইলি রোডের গ্রিন কাজী কটেজ ভবনের একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন। অন্যদিকে রিয়া খাতুন মালয়েশিয়ায় পড়াশোনা করেছেন। শনিবার (২ মার্চ) ফেরার কথা ছিল রিয়া খাতুনের। রিয়া মালয়েশিয়ায় ফ্যাশন ডিজাইনিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।
শান্ত হোসেনের মা লিপি আক্তার বলেন, ‘আমার ছেলে কখনও ভিডিও কলে কথা বলতো না। গতকাল রাতে হঠাৎ সে ভিডিও কল দেয়। পরিবারের সবার খোঁজখবর নেন। আমি তাকে জিজ্ঞেস করি তোমার কি হয়েছে? কিছু হয়নি বলে ফোন বন্ধ করে দেয়। পরে শুনেছি তার অফিসে আ/গুন লেগেছে।
শান্তর ভাই প্রান্ত হোসেন বলেন, “আমার মোবাইলে দেখি রাতে ঢাকার বেইলি রোডে আ/গুন লেগেছে। তখন মনে পড়ল, আমার বড় ভাই ওখানে কাজ করেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে আমার ভাইয়ের মোবাইলে কল করি এবং ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে যখন, সঙ্গে থাকা একজনকে ফোন করলে পুলিশ ফোন করে জানায় লা/শ হাসপাতালে।পরে সকালে লাশ নিয়ে বাসায় আসি।
মেয়েকে হারিয়ে সম্পূর্ণ নীরব রিয়া ফ্যাশনের মালিক কুরবান আলী। স্বজনরা জানান, কুরবান আলীর দুই মেয়ে। তিনি তার বড় মেয়ের নামে একটি শিল্প প্রতিষ্ঠা গড়ে তোলেন। সেই মেয়েটা অকালে চলে গেল।