সুরাইয়া আক্তার সুরভী নামের ২২ বছর বয়সী এক যুবতী বিয়ের দাবি নিয়ে তার প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান করছে। মেয়েটির কথায় জানা গেছে, ঐ প্রেমিক তার সাথে থেকে অনেকবার ঘনিষ্ট হয়েছে। গত তিন দিন ধরে ঐ যুবতী তার প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য তার বাড়িতে অবস্থান করছেন। তিনি ঢাকা থেকে আসার পর ২৮ বছর বয়সী প্রেমিক নোমান মৃধার বাড়িতে এসেছেন। তার প্রেমিকের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলাধীন নাজিরপুর নামক ইউনিয়ন এলাকার ধানদি গ্রামে। বাড়িতে আসার দিন থেকেই প্রেমিকা নোমান তাকে বিয়ে করবে না বলে পলাতক রয়েছে।
সুরভির অভিযোগ, এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নোমান মৃধার সঙ্গে তার পরিচয় হয়। দেখা হওয়ার পর থেকেই তারা একে অপরকে ভালোবাসতে শুরু করে। তিনি ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। নোমান প্রায়ই তার সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় যেত এবং একসঙ্গে থাকতো। তারা সেই সময় শারীরিক সম্পর্ক করতেন। এভাবে ৭-৮ মাস অতিবাহিত হওয়ার পর তিনি নোমানকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এখন সে আমার সাথে এমন করছে। এখন নোমান আমাকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
এই ঘটনাটি তাই সে একদিন নোমানের মাকে জানায়। নোমানের মা তাকে বিয়ের জন্য আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে বলেন। এভাবে অপেক্ষা করতে করতে বছর কেটে গিয়েছ। এরপর বুধবার ঢাকা থেকে প্রেমিক নোমানের গ্রামের বাড়িতে চলে যান তিনি। তার বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে নোমান বাড়ি ছেড়েছে, বলে জানা যায়।
অপরদিকে নোমানের মা নুরজাহান বেগম ও বোন সীমা বেগম তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে কয়েকবার মা”রধর করে। সুরভি জানান, শুক্রবার সকালেও তাকে মা”রধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়।
এ ব্যাপারে নোমানের মা নুরজাহান বেগম বলেন, ওই মেয়ের (সুরভীর) সঙ্গে আমার ছেলের সম্পর্ক আছে, এটা সত্য। কিন্তু আমরা কেউই তাকে মা”রধর করিনি। আমার মেয়ে ডাক্তারের কাছে আমাকে নিয়ে যেতে শহর থেকে বাড়ি এসেছিল। তখন আমরা তাকে (সুরভি) সঙ্গে নিতে চেয়েছিলাম; কিন্তু তিনি যেতে চাননি। তাই টানাটানির সময় আমার হাত ঠেকে একটু আঁচড় লেগেছে।
নোমানের বাবার নাম জামাল মৃধা। জানা গেছে, নোমান বাউফল শহরে তার এক ভগিনীপতির দোকানে কাজ করে। প্রেমিকা সুরাইয়া আক্তার সুরভীর বাড়িও বাউফলের সূর্যমনি ইউনিয়নের নুরাইনপুর গ্রামে। তার পিতার নাম সুলতান শরীফ। তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করেন।
সুরাইয়া আক্তার সুরভী বলেন, আমার সব কিছু শেষ করে ফেলেছে। আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। আমাকে বিয়ে না করলে আমি আ’/ত্মহ”নন করব।
এ ঘটনার বিষয়ে আল মামুন যিনি বাউফল থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি বলেন, এই ঘটনাটি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। কেউ লিখিত কোনো অভিযোগ করেনি। তবে এই ঘটনার বিষয়ে শীঘ্রই তদন্ত করা হবে। এবং সেই মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে। আপাতত ঘটনাটি সমাধান আনার চেষ্টা করা হবে।