অর্থ এমন একটি জিনিস যেইটা দিয়ে করা যায় না এমন কাজ পৃথীবিতে নেই বললেই চলে। যার অর্থ আছে তার সব আছে। এখন অর্থ দিয়ে সব কাজকেই অনায়াসে করা যায় প্রভাবিত। নির্বাচনে জয় লাভ করতে হলে জনগনের ভালোবাসা ও সম্মানই যথেষ্ট। কিন্তু অনেক অসাধু প্রার্থীরা অর্থ দিয়ে সেই নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে চায়। আর তেমনি সম্প্রতি একটি ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা ( Satkhira )তে।
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর সাতক্ষীরা ( Satkhira ) সদর ওসি গোলাম কবিরকে ( Golam Kabir ) দেওয়া ২৬ লাখ টাকা ফেরত চেয়েছেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এসএম জাকির ( SM Zakir ) হোসেন। ভুক্তভোগী প্রার্থী সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ ( Awami League ) নেতা এসএম জাকির ( SM Zakir ) হোসেনের অভিযোগ, গত ( Past ) ইউপি নির্বাচনে আশাশুনি ( Asashuni ) থানার ওসি থাকাকালে তিনি ওসিকে টাকা দেন। তবে ওসি গোলাম কবির এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম জাকির হোসেন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন। ইউনিয়নটি দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির হাতে। মুক্তিযোদ্ধারা তাকে আবার পরাজিত করার ষড়যন্ত্র শুরু করলে তিনি কোনো উপায় খুঁজে পাননি। আশাশুনি থানার তৎকালীন ওসি গোলাম কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন তিনি। সে মোতাবেক বিভিন্ন সময়ে ওসি গোলাম কবিরকে মোট ২৬ লাখ ২০ হাজার টাকা দেন। তবে ওসির টাকা নিয়েও পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনে হেরেছেন বলে দাবি জাকির হোসেনের। পরে ওসির কাছে টাকা ফেরত চাইলে তিনি নানা অজুহাত দিতে থাকেন।
এ ব্যাপারে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলেও জানান তিনি। তবে সম্প্রতি বিদায় নেওয়া পুলিশের মহাপরিদর্শক গোলাম কবির বলেছেন, তিনি কোনো টাকা নেননি।
প্রসঙ্গত, নির্বাচন সুষ্ঠ ও অবাধ হবে এমনটাই চাওয়া সাধারণ মানুষের। একজন জননেতা যিনি জনগনের ভোটে নির্বাচিত হন তিনি সব সময় জনগনের কল্যাণেই নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। কিন্তু যে নেতা অন্যানভাবে নির্বাচনে জয় লাভ করেন তিনি সব সময় নিজের দিকটাই দেখেন বলে মনে করেন অনেকে। তাই গ্রহণযোগ্য ভোটের মাধ্যমে যোগ্য নেতা জয়ী হলে উপকৃত হবে জনগন।