জীবনে ভালো ভাবে বাঁচতে স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এক রিসোর্টে চাকরি নিয়েছিলেন অঙ্কিতা ভণ্ডারী নাম এই তরুণী (১৯)। কিন্তু দূর্ভাগ্যবসত তার সেই আশা আর পূরণ হলো না। এরই মধ্যে গত শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) তার মৃ’ত’দেহ উ’দ্ধার’ করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার এই অকাল মৃ’ত্যুতে’ রীতিমতো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তার বন্ধু ও স্বজনরা।
জানা যায়, অঙ্কিতা প্রাক্তন বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যের ছেলে পুলকিতের রিসেপশনিস্ট হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। অভিযোগ, রিসোর্টে অতিথিদের সঙ্গে জোর করে খারাপ কাজ করতে বলা হয় তাকে। সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অঙ্কিতাকে শেষ করে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিসোর্টের ম্যানেজার সৌরভ ও সহকারী ব্যবস্থাপক অঙ্কিতকে। বর্তমানে তারা জেল হাজতে রয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অঙ্কিতার বন্ধু বিবেক বলেছেন, অঙ্কিতা খুবই দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম, তিনি প্রায়ই বলতেন যে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরে, তিনি উপার্জন করবেন এবং তার পরিবারকে সহায়তা করবেন। অঙ্কিতা তার ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব উৎসাহী ছিল। ক্যারিয়ার গড়ে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।
বিবেক আরও বলেন, আমরা পুরী এলাকার বাসিন্দা। এই এলাকার বাসিন্দারা কাজের সন্ধানে বের হন। তাদের সরল স্বভাব। অঙ্কিতাও খুব সাধারণ মেয়ে ছিল। বেশি কথা বলতো না। সে তার কাজে মগ্ন ছিল।
এদিকে অঙ্কিতার ভাগ্য নিয়ে এলাকার নারীদের মনে আ’তঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদি এমন হয়, আমরা কীভাবে কাজের জন্য বাইরে যেতে পারি? এমন প্রশ্ন করলেন এক নারী। কয়েকজন মহিলা কাঁদতে কাঁদতে বলে, ওরা মেয়েটাকে ;মে;রে; ফেলল। ভাল ভাবে জীবনযাপনের জন্য রোজগার করতে গিয়েছিল মেয়েটা। এরকম হলে আমরা চাকরি করব কিভাবে?
এদিকে দেশটির এক সংবাদ মাধ্যমের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার অঙ্কিতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। এ সময়ে তার পরিবারের সদস্যরা দাবি করেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়। সবাইকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি তাদের।