কয়েকদিন আগে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে একটি সংবাদমাধ্যম গুরুতর অভিযোগ এনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনটি সংবাদপত্রটির প্রথম পাতায় প্রকাশ করা হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, তাকসিম এ খান এর আমেরিকায় চৌদ্দটি বাড়ি রয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করার পর দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এই ঘটনার পর ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এমডির পক্ষে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ আন্দোলন করে।
এবার প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসা আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের পক্ষে একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিবেদক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা ওয়াসার উপ-প্রধান জনতথ্য কর্মকর্তা এ এম মোস্তফা তারেক আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে আইনি নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়াসার প্রথম পাতায় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ জারি করা হয়েছে। ৯ জানুয়ারি জাতীয় পত্রিকায় শিরোনামে ‘যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াসার তাকসিমের ১৪ বাড়ি!’
এ খবর প্রকাশের পর ঢাকা ওয়াসা তাদের প্রতিবাদপত্র পাঠায়। তবে ওই পত্রিকায় অদ্যাবধি প্রতিবাদলিপিটি প্রকাশ করেনি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যারিস্টার এ এম মাসুম স্বাক্ষরিত ১৫ জানুয়ারি জারি করা আইনি নোটিশে তথ্যের সত্যতা উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদক, প্রকাশক ও প্রতিবেদককে নোটিশ পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসংগত, ঢাকা ওয়াসায় (ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ) এ পর্যন্ত বেশ কিছু গুরুতর দুর্নীতির মুখে পড়েছে। ওয়াসা অতীতে দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার জন্য সমালোচিত হয়েছে। ঢাকা ওয়াসার মতো প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি মোকাবেলা ও প্রতিরোধে সরকার ও নাগরিকদের একসঙ্গে কাজ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।