আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ‘দিল্লি থাকলে আমরাও আছি’ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
শনিবার (৭ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর পুরাতন পল্টন কালভার্ট রোডে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে সংসদ ভেঙে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন, সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতির প্রবর্তন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে অবহেলা ও চরম অব্যবস্থাপনা নিরসন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিশাল সমাবেশে তিনি এ সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ক্ষমতাসীন দলের প্রতিনিধি হতে পারে না। লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। এই দেশকে স্বাধীন করতে লাখো মা-বোনের সম্ভ্রম হারিয়েছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার জন্য তা ধ্বং’স করবে, সাধারণ মানুষ তা সহ্য করবে না।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, ওবায়দুল কাদের বলছেন, “‘তলে তলে সমঝোতা হয়ে গেছে।’ আমি বলি তলে তলে সরকারের পতন আন্দোলন তৈরি হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ছলচাতুরির আশ্রয় না নিয়ে ক্ষমতা ছেড়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন।”
জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়ে তিনি বলেন, দিনের ভোট রাতে দিয়ে সরকার স্বাধীনতার ৫৩ বছরের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে। সরকার জনগণের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকারকে হ”ত্যা করেছে। দেশের অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন চায় না।
জাতীয় সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে রাজপথ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে, সংকট ঘনীভূত হচ্ছে, বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির। সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে বিগত ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনের ন্যায় কলঙ্কিত নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চায়।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী। সংগঠনের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম সদস্য আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, ইসলামী আইনজীবী পরিষদের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল মজুমদার, আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন, ডা. শহিদুল ইসলাম, কেএম শরীয়াতুল্লাহ, হাফেজ মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ফজলুল হক মৃধা, এম এম শোয়াইব, মুফতি আখতারুজ্জামান, হাফেজ শাহাদাত হোসেন প্রধানিয়া, আল-আমিন সোহাগ, ইউসুফ পিয়াস, আবদুর রহমান প্রমুখ।