বরিশালে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ব্যুরো চিফ অপূর্ব অপুকে প্রাইভেটকারে অপহরণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অপহরণের চেষ্টায় অংশ নেয় চারজন। গত রোববার বিকেল ( Last Sunday afternoon ) সাড়ে ৩টায় নগরীর শীতলাখোলা এলাকার মুমিটু কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। অপূর্ব অপু বলেন, দুপুরের খাবার খেতে আসার সময়ে উজিরপুরে ( Wazirpur ) সড়ক দুর্ঘটনার খবর নিয়ে বাসায় এসেছি। খাওয়া শেষ করে শহরের কালীবাড়ি রোডে টিভি অফিসে যাওয়ার সময় এই অনাকাঙ্কিত ঘটনা ঘটে।
বরিশালে অপূর্ব অপুর ওপর হামলা ও অপহরণের চেষ্টা ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করছেন সাংবাদিকরা। বুধবার ( Wednesday ) (১ জুন ( June )) বিকেলে ( afternoon ) বরিশাল নগরীর ( Barisal city ) অশ্বিনী কুমার হলের সামনে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত ( Shaheed Abdur Rab Serniabat ) বরিশাল প্রেসক্লাব এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে একাত্মতা প্রকাশ করে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ( Barisal City Corporation ) মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের ( Metropolitan Awami League ) সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাঈদিক আবদুল্লাহ ( Serniabat Sayedik Abdullah ) বলেন, শান্তিপূর্ণ বরিশালে কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা না করে। আর তা করার চেষ্টা করা হলে তার পরিণতি ভালো হবে না। চার দিন অতিবাহিত হলেও অভিযুক্ত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ( police. ) অপহরণের চেষ্টায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি খুজে পাওয়া যায়নি। সেটি উধাও হয়ে যেতে পারে না। সেটিও জব্দ করা হয়নি। অবিলম্বে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে গ্রেফতারের আহ্বান জানাচ্ছি। আর আপনার যদি না পারেন তাহলে আমাদের বলুন, আমরাই ওদের আপনাদের কাছে সোপর্দ করে দিচ্ছি।
বরিশাল টেলিভিশন মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আক্তার ফারাক শাহীন বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে আমরা সব পুলিশ বিভাগ অবরোধ করব। পুলিশ যদি আমাদের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে তাদের কাজ কী? প্রাইভেটকার ব্যবহার করে সাংবাদিক অপুকে অপহরণের চেষ্টা হয়েছে বলে শুনেছি, কিন্তু প্রাইভেটকারটি শিল্প কারখানায় নেই। কারণ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজন ব্যক্তি ওই প্রতিষ্ঠানের মালিকের আত্মীয়। কেন তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল ও ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন।
উল্লেখ্য, বরিশাল মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক হরিদাস নাগ ঘটনার বিষয়ে বলেছিলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখছি। মুমিটু কমিউনিটি সেন্টারের মালিক শাহিন মল্লিক মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও আটক করা হয়েছে তাকে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মঞ্জুর হোসেন বলেন, ঘটনাটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌছেছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। অবিলম্বে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।