সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি ও টাকার পাচারের কারনে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা সংকটের মুখে পড়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে যে হাজার হাজার কোটি টাকা নেতাকর্মীদের পকেটে ভরার সুযোগ করা দেওয়ায় রিজার্ভ সংকটের তৈরী হয়েছে । যার কারনে সরকার জ্বালানি তেলসহ আমদানিকৃত পন্য দ্রব্যে ক্রয় করতে পারছে না্। সেজন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে লোডশেডিং সৃষ্টি হচ্ছে বাড়চ্ছে জনদুর্ভোগ। এ পরিস্থিতির জন্য দায়ী সরকার লু/টপাট ও লাগাতার দুর্নীতি এবং দলীয়কর বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। এ বিষয় প্রসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য হুবাহু নিচে তুলে ধরা হল।
জটিল প্রশ্ন কিন্তু উত্তর সহজ। যদি আপনি হাসিনাকে রিড করা শিখে যান তাহলে আপনি হাসিনার প্রত্যেকটা পদক্ষেপ পই পই করে বুঝে নিতে পারবেন। হাসিনারে এতোদিন ধরে ফলো করতে করতে এখন সে মুখ খুললে আমি তার আলাজিহবা দেখে ফেলি। আজকের আলোচনায় আমরা শুধু হাসিনার ইন্ডিয়া সফর আর হাসিনার সাম্প্রতিক আচরণ গুলো পর্যালোচনা করবো। শুধু আমিই হাসিনারে চিনলে হবে? আপনারাও চিনেন। বুঝতে পারবেন কখন হাসিনা কী করবে।
হাসিনার সবচেয়ে বড় সংকট তার হাতে টেকা নাই। সে না পারে তেল গ্যাস কিনতে না পারে সার কিনতে। না পারে বিদ্যুৎ দিতে। তো টেকা পাবে কই। এইটা আবার মনে কইরেন না যে দেশের সেবার জন্য টেকা দরকার। টেকা দরকার চুরির জন্য। এতো গালি খাইয়া, এতো বদ দোয়া নিয়া, এতো মিছা কথা বইলা, নৈশ ভোট কইর্যা, এতো গুম খুন কইর্যা সে ক্ষমতায় আছে কেন? চুরির জন্য। এই টেকা দেয়ার সামর্থ্য কারোই নাই চিন ছাড়া। কতো টেকা লাগবে? তেরো থেকে ষোল বিলিয়ন ডলার যদি রিজার্ভে হাত না দিয়ে চলতে হয়। কারণ এই বছর থেকে ওই যে উন্নয়নের ঠাপ চলছিলো সেইটার প্রেগন্যান্সি পিরিয়ড শেষ হয়ে ঋণ শোধের বাচ্চা পয়দা হবে এই বছর। ওই বাচ্চা বছর বছর বাড়বে। আর আমাদের ঋণ শোধ করে করে ওই বাচ্চা পালতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকার দেশের মানুষ নয় নিজের নেতাকর্মীদের পেট ভরানোর জন্য দেশের এমন সংকট তৈরী হয়েছে বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, তার লু/টপাট ও দুর্নীতির সমস্ত চাপ এখনো জনগনের উপর দিয়ে যাচ্ছে।