একটি আমরা-আমরা ঘটনা
———————
ডিএমপি রমনা (অপরাধ) বিভাগের এডিসি হারুনের সাথে মহামান্য রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল হক মামুনের(প্রশাসন ক্যাডার)অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রসঙ্গে।
——————————–
শনিবার ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেদম পিটিয়েছেন পুলিশের ডিএমপি রমনা (অপরাধ)বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। সূত্রে এ অভিযোগ ছাত্রলীগের।
দুইজন হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম। তাদেরকে শাহবাগ থানার ওসি ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের সহায়তায় প্রথমে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল ও পরে সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার জেরে রাতে শাহবাগ থানার সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান ও পুলিশের কর্মকর্তারা থানায় গিয়ে মধ্যরাতে ঘটনার মীমাংসার চেষ্টা করেন।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে ৩৩তম বিসিএসের আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা, মহামান্য রাষ্ট্রপতির এপিএস এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আজিজুল হক মামুন।
সেখানে এডিসি হারুনের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। তখন উপস্থিত ছাত্রলীগের দুই নেতা তার ওপর হামলা চালায়। পরে হারুন দ্রুত সেখান থেকে সটকে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি আবার পুলিশ ফোর্স নিয়ে সেখানে যান। এরপর ওই নারী কর্মকর্তার স্বামীকে না পেয়ে দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহাবাগ থানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন বলে দাবি করেন ছাত্রলীগ।
সূত্র জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেনশাহ মাহমুদ। তিনি হস্তক্ষেপ করে ওই নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামীকে রক্ষা করেন। কিন্তু এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি সূত্রে বলেন, ‘আমি এসব কিছুই জানি না।’
নিউমার্কেট জোনের এডিসি শাহেন শাহ মাহমুদ সূত্রে বলেন, ‘এমন কোনো বিষয় জানা নেই। তবে হাঁটার সময়ে আমাদের এক অফিসারের সঙ্গে অন্য এক অফিসারে ধাক্কা লাগে। তা নিয়ে ভুল বুঝাবুঝি হলেও বিষয়টা সমাধান হয়ে গেছে।’
সূত্রে ছাত্রলীগের অভিযোগ এই ৩১তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা এডিসি হারুন নানা সময়েই আলোচনা-সমালোচনায় থাকেন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। এবার তিনি ক্ষমতার চূড়ান্ত অপব্যবহার করেছেন নারীঘটিত বিষয়ে।
সূত্র জানায়, ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। বিষয়টি টের পেয়ে তার স্বামী ছাত্রলীগের দুই নেতাকে দিয়ে নজরদারি করাচ্ছিলেন। শনিবার রাতে তাদের একসঙ্গে দেখে হাতেনাতে ধরার পর ঘটনার সৃষ্টি হয়।
সূত্রে আরো জানা যায় ৩১ তম বিসিএস (পুলিশ) ওই নারী কর্মকর্তা পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি ছিলেন।
Home / opinion / ওই নারী কর্মকর্তার সঙ্গে হারুনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, রাতে তাদের হাতেনাতে ধরার পর ঘটনার সূত্রপাত : শামসুল
Check Also
যে কারণে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নিতে বললেন সাংবাদিক ইলিয়াস
বিশিষ্ট সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। বুধবার (২০ …