সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির জন্য সারাদেশের মানুষ হতাশার জীবন যাপন করছেন। যুক্তরাষ্ট্র,যুক্তরাজ্যসহ এশিয়া মহাদেশের ( Asian continent ) অধিক অংশ্য দেশে খাদ্যদ্রব্যের দাম শিথিল হলেও হয়নি বাংলাদেশে। এই বিষয়কে ঘিরে প্রতিবাদ মূলক আন্দোলন গড়ে উঠেছে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে। খাদ্যদ্রব্যে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষ টিসিবির পণ্যের দিকে ঝুঁকলেও অনেকে প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য না পাওয়ার জন্য হালি হাতেও ফিরতে হচ্ছে ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা.জাফরুল্লাহ চৌধুরী ( Dr. Jafrullah Chowdhury ) আগামি ২৮ মার্চ সারাদেশে অর্ধদিবস ধর্মঘটের ডাক দেন। তিনি ভোজ্যতেল, চাল, ডাল ও পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বিকেলে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের ( Dhanmondi Public Health City Hospital ) বীর উত্তম মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওইদিনই অর্ধদিবস ধর্মঘটের ঘোষণা দেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। একটি সূত্র জানিয়েছে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপিও ( BNP ) হরতাল সমর্থন করতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দ্রব্যমূল্যকে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। ভর্তুকি মূল্যে ২ কোটি দরিদ্র পরিবারকে নিয়মিত রেশন দিতে হবে। মূল্যবৃদ্ধির বাণিজ্য সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তিনি সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে ২৮শে মার্চ শান্তিপূর্ণ হরতাল পালনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ওই দিন তারা বের হবেন না। বাইরে গেলেও ধর্মঘটে যোগ দিতে বের হবেন। দলমত নির্বিশেষে সকলেই যে কোন উপায়ে হরতাল পালন করবে।
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে আছি। তবে হরতাল যেহেতু একটি বড় রাজনৈতিক কর্মসূচি তাই দলীয় বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী, ভাসানী আনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্যের মিডিয়া অফিসার জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোতে খাদ্যদ্রব্যের মজুদ বাড়লেও পণ্য কিনছেন না বাংলাদেশ সরকার। এই বিষয়কে ঘিরে মানুষের মধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে খোপ দেখা দিয়েছে। এই দিকে সরকার ভোয্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য সরকারি ভ্যাট ও মউকুপ করার সিন্ধান্ত নেন। তবে এতে কোন লাভ হয়নি। বিক্রেতাদের দাবি তারা ভোয্যতেল সংকট দেখা দিলে, অগ্রিম বেশি দাম দিয়ে কোম্পানির কাছ থেকে ভোয্যতেল ক্রয় করেছেন। তাই বাধ্য হয়ে তাদের তেলের দাম বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।