বাংলদেশে এখন বইছে আনন্দের বন্যা। আর এই আনন্দ দেশে বয়ে নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের সাফ জয়ী নারীই ফুটবল টিম। তাদের কারণেই দেশে এখন এতো বেশি আনন্দ বিরাজ করছে।এ দিকে জয়ে নিয়ে দেশে ফেরার পর থেকেই তৈরী হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। এবার এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব আশরাফুল আলম কখন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-
এ কথাগুলো কেউ বলে না। হয়তো সমালোচনা করে অথবা তোষামোদি করে। এসবের মধ্যেও কিছু সত্য থাকে।
আমাদের মেয়েরা আগেও ফুটবল খেলেছে। তবে আজকের যে গৌরব, তা দীর্ঘ এক যুগের পরিকল্পনার ফসল, ২০১০ সালে সাফে নারী ফুটবল শুরু হবার পর থেকেই। এই স্বপ্ন মাথায় রেখেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক স্কুল পর্যায়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা গোল্ড কাপ ফুটবল চালু করেছিলেন। ২০১১ / ২০১২ সালের সেই ক্ষুধে তারকারাই আজকের সাফ জয়ী মহাতারকা। যেমনটা, নির্মাণ স্কুল ক্রিকেট দিয়ে আমরা ক্রিকেটে বাংলাদেশের সাফল্য পেয়েছিলাম।
কাল প্রেস কনফারেন্সের ছবি নিয়ে অনেক বিতর্ক। আমি রাতে (নিউইয়র্ক টাইম) যতক্ষণ জেগে ছিলাম ততক্ষন চেয়ারে বসে ব্রিফিং করতে কোচ ও অধিনায়ককেই দেখেছি। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি মহাবিতর্ক, তারা কেন দাঁড়িয়ে! পরে দেখলাম, যারা ঝড় তুলছেন তারা অর্ধসত্য নিয়ে ঝড় তুলছেন। যা মিথ্যারই সামিল। কারণ, মূলব্রিফিং পর্যন্ত কোচ ও অধিনায়ক চেয়ারেই বসে কথা বলেছেন।
আসলে, প্রেস কনফারেন্স এক পাল লোকের কোন প্রয়োজন ছিল না। মাননীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, বাফুফের অকর্মা সভাপতি, কোচ ও অধিনায়কের জন্য চারটি চেয়ার থাকলেই চলতো। বিতর্ক এড়ানো যেতো.
গৌরব বয়ে আনা এই তারকাদের প্রতি উদার হতে বাফুফে কার্পণ্য করেছে। নিশ্চিত থাকেন দেশে ফিরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতিকে হতাশ করবেন না। দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনা আমাদের বোনগুলোও অনেক সম্মানিত হবেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা এমনই… এই প্রমান বহুবার রেখেছেন।
প্রসঙ্গত,এ দিকে সাফ হয়নি নারী টিমকে ইতিমধ্যে সুখবর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জানিয়েছেন দেশে ফিরলে তিনি তাদের হাতে তুলে দেবেন পুরস্কার। সে সাথে যাদের ঘরের প্রয়োজন তাদের জন্য তৈরী করে দেবেন ঘরও।