নেপালের সাথে তিন এক গোলে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়লাভ করা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নিয়ে সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া ও গণমাধ্যমে তোলপাড় চলছে। দেশে এবং বিদেশে প্রশংসা করেছেন তারা। দুর্দান্ত পারফর্মেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষের দৃষ্টি করেছেন এই নারী খেলোয়াড়েরা।
নেপালের কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ দল। প্রথমবারের মতো নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছেন সাফ। আর তারকা নির্মাতা মোস্তফা সারিয়ার ফারুকী এই খেলা দেখেছেন একমাত্র মেয়ে ইলহাম নুসরাত ফারুকীকে নিয়ে। টাইগারদের জয়ে আনন্দ প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন তিনি। এবার নারী ফুটবল দল নিয়ে নতুন পোস্ট করলেন তিনি। যেখানে উঠে আসে বেতন বৈষম্য।
গতকাল (২২ সেপ্টেম্বর) ফারুকী তার ফে/ সবুকে লেখেন, ‘কখনও কখনও আমার মনে হয় আমরা সবকিছুকে এমনভাবে ঠেলে দিতে শুরু করি যে আমাদের বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ থাকে না। এ যেন সালাহউদ্দিন ভাই। তার বিতর্কিত গত নির্বাচন, রাষ্ট্রপতি পদে প্রায় চিরস্থায়ী স্থিরকরণ, প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় এবং অযৌক্তিক বক্তব্য যেমন মেয়েদের বিয়ে করতে সাহায্য করা, দৃশ্যমান রাগ ইত্যাদির সমালোচনা করা যেতে পারে। কিন্তু এত বছর আগে এই মেয়েদের একত্রিত করা এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং তাদের একটি দল হিসাবে বিকাশে সহায়তা করাকে প্রশংসা না করা ভুল হবে। এমনকি তাদের সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলন ও ফটোশুটের বিপর্যয়ের সমালোচনা করেও এই অর্জনকে আড়াল করার উপায় নেই। বন্ধুরা, দয়া করে তাদের যা প্রাপ্য তা দেওয়া যাক।
তিনি আরও লিখেছেন, এখন যেটা দরকার তা হল তাদের বেতন কাঠামোকে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে যাওয়া। সবাই এটা নিয়ে কথা বললে শুধু এই খেলোয়াড়দের জন্যই ভালো হবে না, এটা অন্য মেয়েদেরও খেলায় আসতে উৎসাহিত করবে। এছাড়া দেশের মেয়েদের নিয়মিত টুর্নামেন্ট কিভাবে খেলা যায় তা নিয়েও ভাবতে পারেন। দেখা যাবে জেলায় কীভাবে ফুটবল খেলা যায়। এমনকি গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, উত্তরা, মিরপুরের স্কুলগুলোতে কী হচ্ছে, সেখানকার মেয়েরা কী খেলতে চায়, চাইলে কীভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা যায়, এমন ভাবনা নিয়ে ভাবুন। এই মনোযোগ এবং গতিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতিটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে। প্রথম সাফল্য আসে 2016 মৌসুমে। সেই সময় টাইগ্রেসরা রানার্স আপ হয়েছিল। এবার এসেছে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। সাবিনা খাতুন-কৃষ্ণা রানী সরকার সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকার পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ঘরে তুলেছে, টাইগ্রেসরা ৫টি ম্যাচে মোট ২৩টি গোল সংগ্রহ করেছে। বিপরীতে মাত্র ১ গোল হজম হয়েছে। তাও জমজমাট ফাইনালে।
উল্লেখ্য, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে জয়লাভ করে দেশে ফেরার পথে নারী এই খেলোয়াড়দের সাথে ঘটে গেল অনাকাঙ্খিত কাণ্ড। এ ঘটনায় নারী দুই খেলোয়াড়ের হাজার ডলারের মত অর্থ লাগেজ ভেঙে বিমানবন্দর থেকে চুরি হয়ে যায়। তবে এখনো সেই চোরকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়নি পুলিশ।