বাংলাদেশের টিভি তারকা বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশির সংসার জীবনটা সুখেই কাটছিল দুই ছেলে কে নিয়ে। তারাও নাম লিখিয়েছেন অভিনয়ের খাতায় জনপ্রিয়তা ও পেয়েছে বাবা মায়ের পথ ধরেই। তাইতো গর্ব করতে ছাড়েন না দুই ছেলেকে নিয়ে এই দম্পতি। সম্প্রতি তাদের ব্যাপারেই কথা বললেন তাদের মা বাবা। দুই ছেলের একজন বাবাকে আরেকজন মাকে ভাগ করেও নেই এমনটা জানিয়েছেন তারা।
জাতীয় টেলিভিশনের তারকা দম্পতি বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুশি। দুই সন্তান দিব্যজ্যোতি ও সৌম্যজ্যোতিকে নিয়ে তাদের সুখের সংসার। বাবা-মায়ের মতো তারাও অভিনয়ের রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন। ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন দিব্যা-সৌম্য।
দুই সন্তান নিয়ে বৃন্দাবন দাস ও শাহনাজ খুবই সুখী দম্পতি। প্রতিভাবান অভিনেত্রী প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার দুই ছেলের বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন। 13 জানুয়ারী, তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছেলে মারামারি এবং প্রেমের একটি মিশ্র ছবি পোস্ট করেছেন। শাহনাজ খুশির লেখাটি হুবহু তুলে ধরা হলো:
”জীবনে এখনও অনেক কিছু শেখার আছে! যেমন একটি শিশু তার পিতামাতার কাছ থেকে শেখে, একটি শিশু তার পিতামাতার কাছ থেকে শেখে (এটি অবশ্যই আমার মতামত)।
দিব্যা ও সৌম্যর খুব কম ঝগড়া হয়। কিন্তু ক্ষিপ্ত হয়ে তারা একে অপরকে মারধর করতে থাকে। আমার মধ্যস্থতা ছাড়া দেখা করা কঠিন!
গতকালও তাই হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সময়ের সব রেকর্ড ভেঙে গেছে। মানে, তাদের হাত দিয়ে, তাদের মুখেও একে অপরের উপর বিভিন্ন ব্যথা/যন্ত্রণার বর্ষণ শুরু হয়েছে। ওরা দুজনে অনেক কেঁদে বললো কেউ কারো মুখ দেখবে না। রাতে ঘুমানোর ব্যাপারটাও আলাদা। একজন আমার সাথে শেয়ার করেছে, আরেকজন তার বাবাকে নিয়ে গেছে।
আমি সম্পূর্ণ বোকা হয়ে গেলাম। বাচ্চাগুলো বড় হয়ে গেছে, এটা কিভাবে বের করব বুঝতে পারছিলাম না! এমনকি আজ সকালেও দুজনে মুখোমুখি ছিলেন। চা নিয়ে বাইরে চলে গেল একজন!
লোকটি বিকেলে একটু নিচে কথা বলতে বেরিয়েছিল (তারা সাধারণত একা বাইরে যায় না)। ফিরে এলেন হাতে একটি প্যাকেজ নিয়ে। সন্ধ্যায় চা নিয়ে টেবিলে এসে দেখি ছোট একটা কেক! লাল রঙে লেখা ‘সরি’।
এভাবেই ‘সরি’ বলতে পারো বাবা রে! ‘দুঃখিত’ বলতে পারা একটি দুর্দান্ত গুণ যা বেশিরভাগ লোকের নেই! এভাবে ‘সরি’ বলার পর সব অপরাধবোধ/বেদনা ম্লান হয়ে যায় আর ভালোবাসা, সব আক্ষেপ মুছে যায় বাবা! তোমাকে যেতে হবে! ভাই-ভাই অনেকক্ষণ বুকের সাথে চেপে ধরে! কেঁদেছি……………
এভাবে ‘সরি’ বলে গর্বের পাহাড়ে চড়তে পারো, তোমার কাছ থেকে শিখেছি বাবা! মাঝে মাঝে তুমি আমার আসল বাবা হয়ে যাও বলে! আর আমি তোমার বোকা মেয়ে। ”
দাম্পত্য জীবন সুখের কাটছিল, পাশাপাশি দুই ছেলেকে নিয়ে যে এখন তারা খুবই সুন্দর জীবন যাপন করছে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। বাবা মায়ের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে ছেলে মেয়েদের কাছ থেকেও কিছু শেখার মতো পরিবেশ তৈরী হয়ে যায় সেটা এই দম্পতিকে দেখলেই বোঝা যায়। তবে সবকিছু মিলিয়ে ছেলেদেরকে নিয়ে চাইলেই সুখে থাকা সম্ভব সেটাও বৃন্দাবন দাস এবং শাহনাজ খুশি তাদের পরিবার নিয়ে প্রমাণ করে দিলেন।