বিশ্বের সবচেয়ে সন্মানীয় পুরষ্কার হলো নোবেল পুরস্কার। আলফ্রেড বারনার্ড নোবেলের রেখে যাওয়া সম্পদ হতে প্রাপ্ত আয়ের থেকে প্রতি বছর ছয়টি ক্ষেত্রে যারা বিশেষ এবং আসামান্য অবদান রাখেন তাদের এই পুরষ্কার প্রদান করা হয়। যাইহোক, নোবেল শান্তি পুরস্কার কে পাচ্ছেন সেটা নিয়ে বিশ্বের মানুষের বরাবরই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ২০২১ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিজয়ীর নাম আগামীকাল শুক্রবার অর্থাৎ ৮ অক্টোবর ঘোষণা করা হবে। আগামিকাল বিকালে নরওয়ে হতে শান্তিতে পুরস্কার বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এবার ২৩৪ জন ব্যক্তি এবং ৯৫ টি সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এই বিভাগে মনোনীত হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন, তরুণ পরিবেশবিদ গ্রেটা থানবার্গ হতে আরম্ভ করে ডব্লিউএইচওর মতো বড় সংস্থা আলোচনায় রয়েছে।
স’/হিং’/সতা-সং’/ঘা’/ত আর বিশ্বের চলমান পরিস্থির মধ্যেই আলোচনার তুঙ্গে কে পাচ্ছেন এ বছরের শান্তিতে নোবেল। নিশ্চিত ইঙ্গিত না মিললেও কার ঝুলিতে জুটবে এবারের নোবেল তা নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ।
বিশ্বের এই চলমান পরিস্থিতির লাগাম টানতে সম্মুখসারির বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নাম আছে আলোচনার শুরুতে। বিশ্বজুড়ে পরিচালিত টি’কাদান প্রকল্প কো’ভ্যাক্স সফলভাবে পরিচালনা করায় সংস্থাটির নোবেল জয়ের সম্ভাবনা বেশি।
অভিবাসী এবং শরণার্থীদের অধিকার নিয়ে অবদান রাখায় শান্তিতে নোবেলের জন্য আলোচনায় আছে ইউএনএইচসিআরও। অপরদিকে তালিকায় আছে ইসরা’য়েল ও ফি’লিস্তিনের নাগরিকদের মানবাধিকার নিশ্চিত এবং শান্তি প্রতিষ্ঠায় কর্মরত দুটি প্রতিষ্ঠান বিসালেম এবং পিসিএইচআর। এছাড়াও আলোচিত হচ্ছে পোল্যান্ডের বিচারপতিদের সংগঠন লুস্তিতিয়া।
বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় কাজ করা সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স এবং হংকং ভিত্তিক বার্তা সংস্থা এইচকেইপি নিয়েও আলোচনা চলছে জো’রেশোরে।
এদিকে চলতি বছর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী হিসেবে ব্যক্তিদের মধ্যে আলোচিত হচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। জোরা’লো গু’ঞ্জন রয়েছে রাশিয়ার বি’রো/ধী নেতা অ্যালেক্সি নাভালনি ও সুইডেনের তরুণ জলবায়ুকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে নিয়েও।
উই’ঘুর মানবাধিকার ইস্যুতে সো’চ্চার সমর্থক ইলহাম তোহতি, হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থী নেতা নাথান ল এবং বেলারুশিয়ান বিরো’ধী দলীয় নেতা সেভতলানা সিকানোস্কায়ারও তালিকায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, এই বছর যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীর হচ্ছেন সেই ভাগ্যবান ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম আগামিকাল (শুক্রবার) ঘোষণা করা হবে, কিন্তু আগামি ডিসেম্বর মাসে বিজয়ী যারা তাদের হাতে পদক, সার্টিফিকেট এবং পুরষ্কারের অর্থ তুলে দেওয়া হবে। তবে বিশ্বের চলমান এই পরিস্থিতির কারণে যারা বিজয়ী তাদের নিজ নিজ দেশে বসে যাতে পুরস্কার পান সে ব্যবস্থা করা হবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে।