প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই নৌকায় ভোট দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। আবার নৌকা ক্ষমতায় এলে মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে। এই নৌকাটি হযরত নূহ (আঃ) এর নৌকা। কিন্তু আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই নৌকায় মানবজাতিকে রক্ষা করেছেন। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বাণিজ্য করে নির্বাচন ধ্বংস করেছে। একজন লন্ডনে বসে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছেন, আরেকজন গুলশানে বসে মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছেন। এর বাইরে পল্টন থেকে আরেক দফা বিক্রি করেন। এভাবে তারা নির্বাচনকে ব্যবসায় পরিণত করে ধ্বংস করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করে। আপনাদের সবাইকে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মানুষের জীবন কেড়ে নেবে, মানুষকে ভোট দিতে দেবে না, নির্বাচন ঠেকিয়ে দেবে, সে এত সাহস কোথায় পায়। সেই লন্ডনে বসে একজন কুলাঙ্গার হুকুম দিচ্ছে, আর এখানে কিছু লোক আগুন নিয়ে খেলছে। তাদের মনে রাখতে হবে আগুন নিয়ে খেলে তাদের হাত পুড়ে যায়।
এর আগে বুধবার বেলা ৩টার দিকে তিনি জনসভায় যোগ দেন। দলের নেতাকর্মীরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেন। পরে কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ। হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে নৈরাজ্য শুরু করেছে। তারা মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছে। নারী-শিশু, পুলিশ, সাংবাদিকদের ওপর হামলা হচ্ছে। আমি মনে করি জনগণ তাদের কখনই গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, মানুষ এত শান্তিপ্রিয় ছিল। আজ, সমস্ত অসুবিধা সত্ত্বেও, কোভিড -19 মহামারী, ইউক্রেনের যুদ্ধ, নিষেধাজ্ঞা, আমরা এখনও অর্থনীতির চাকা সচল রাখছি, তাদের ভর্তুকি দিচ্ছি এবং তাদের খাওয়াচ্ছি। আমরা সব ব্যবস্থা করছি। আমি রাস্তায় সবকিছু উন্নত করেছি। কিন্তু আমরা কোথায়, কোন জায়গা ছেড়ে এসেছি, তারা আন্দোলনের নামে আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে? ভোট জনগণের অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার। জনগণ সেটাই ভোট দেবে। মানুষ ভোট দিতে আসবে, বাধা দেবে, হত্যা করবে- এমনটা করার অধিকার কারো নেই। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের কেউ এটা মেনে নেবে না।