বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গুলশানের বাসা থেকে এবং জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে জাতীয় যুব দলের সহসভাপতি নাজমুল আলম নাজু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোন্নাফ মুকুলসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে এসব নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, যেহেতু চারদিক থেকে নির্দলীয় সরকারের দাবি উঠেছে। এ কারণে সরকার আতঙ্কিত। এ অবস্থায় জনমনে ভীতি ও বিভ্রান্তি ছড়াতে গণতন্ত্রপন্থী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়াও আমরা অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করছি।
তার সাড়ে ১১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুলুর ব্যক্তিগত সহকারী রনি জানান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুর বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। তবে সব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু শারীরিকভাবে অসুস্থ। কয়েকদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে তাকে কেমোথেরাপি নিতে হয়। এ ছাড়া অন্যান্য ওষুধ নিয়মিত খেতে হয়। তাকে গ্রেফতারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে তার পরিবার।
অপরদিকে, একই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে শেওড়াপাড়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে জাতীয়তাবাদী তাঁতীদলের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদকে কাফরুল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
এদিকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে আজ বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির জনসমাবেশ।কিন্তু সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই নয়াপল্টন এলাকার বিভিন্ন ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকান, টং দোকান উচ্ছেদ করে পুলিশ। ফলে চারদিকে এক ধরনের নীরবতা বিরাজ করছে।
এ অবস্থায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশের অতিরিক্ত উপস্থিতি দেখে দলটির নেতাকর্মীরা কার্যালয় ত্যাগ করেন।
বিএনপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুবদল কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি (রংপুর বিভাগ) ও রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নজু এবং রংপুর বিভাগীয় যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর জেলা যুবদলের সভাপতি মোন্নাফ মুকুল।
তবে বিএনপির এসব দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
পুলিশের কোনো অভিযান ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে গুলশান থানার ওসি ফরমান আলী বলেন, গুলশান থানার কোনো পুলিশি অভিযান নেই। অন্য কেউ অভিযান চালিয়েছে কিনা আমার জানা নেই।