অ্যাড. তারানা হালিম হলেন বাংলাদেশের একজন খুব জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এছাড়াও তিনি একাধারে একজন সমাজকর্মী, নাট্য পরিচালক,আইনজীবী এবং লেখক। তিনি তার প্রতিভাময় অভিনয়ের দ্বারা জয় করে নিয়েছেন বাংলার মানুষডের হৃদয়। অ্যাড. তারানা হালিম তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন জিহ্বা সংযত করতে।
সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. তারানা হালিম জিহ্বাকে সংযত রাখার আহ্বান জানান। প্রতিদিন কোনো না কোনো মন্ত্রীর কথা শুনলে মনে হয়, কীভাবে কথায় কথায় দল ও নেত্রীর ক্ষতি করা যায়, তা বোঝানোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব তারা নিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার ভেরিফায়েড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পেজে বিভিন্ন মন্ত্রীদের বোকামীর মন্তব্য তুলে ধরে একটি পোস্ট করেছেন।
তারানা হালিমের পোস্টটি নিখুঁতভাবে তুলে ধরেছে, জিহ্বা একটি বড় জটিল শরীরের অঙ্গ। গণবিধ্বংসী অস্ত্রের মতো। একবার ছেড়ে দিলে ফেরত নেওয়া যায় না। তাই দল-মত নির্বিশেষে সকলের কাছে জিহ্বার পরিমিত ব্যবহার প্রত্যাশিত। বিশেষ করে কেউ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলে সেই পদের মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব তার।
আমি যতদূর জানি, শুধুমাত্র একটি দল সিদ্ধান্ত নেয় তার নেতা কে। আমি আওয়ামী লীগ করি। কিন্তু আমি জানতে চাই, সবাই যদি দলের মুখপত্র হয়, তাহলে আমরা কী করে বুঝব দল কী নিয়ে কথা বলছে!! কথা কম, কাজ বেশি- আমরা কি ভুলে গেছি? অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে- এখন মানুষ এই সমস্যা সমাধানের উপায় জানতে চায়, তাদের মধ্যে কল গানের মতো বিএনপির নিন্দা করতে গিয়ে বিএনপির কথা কেউ ভোলে না, আর প্রতিদিন যখন শুনি কোনো না কোনো মন্ত্রীর কথা। মনে হচ্ছে, দল ও নেতা কথা বলছেন। কীভাবে ক্ষতি হতে পারে তা বোঝানোর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়েছে তারা। আল্লাহ সবাইকে তাদের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণ করার তৌফিক দান করুন। আমিন। এড. তারানা হালিম।
প্রসঙ্গত, অ্যাড. তারানা হালিম মন্ত্রীত্ব পাবার পর সততা ও নিষ্ঠার সহিত তার দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। তিনি তার দায়িত্বের প্রতি সদা সতর্ক থেকে নিরলসভাবে কাজ করেছেন। দেশের বর্তমান সংকট পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। তবে সরকার এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে খুব তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।