হিরো আলমকে চেনেন না বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে এ রকম লোকের সংখ্যা খুবই কমই আছেন। তিনি মানুষের হাসির পাত্র হলেও তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন কীভাবে মানুষের কটাক্ষ, কটু কথা ও তাচ্ছিল্য নিয়ে সমাজে জায়গা করে নিতে হয়। তিনি খুব কম সময়ের মাঝে নিজেকে একটি স্থানে দাঁড় করিয়েছেন। অনেকে তাকে নিয়ে কটু কথা বলতে ছাড়েন না, কিন্তু সে তার ধারে কাছেও নাই। এবার সে সকল কটাক্ষকারী ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দিয়েছেন আসিফ নজরুল। তার সঐ পোস্টটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
হিরো আলমের প্রতি সমাজের এলিট, পাতি–এলিট, স্বকল্পিত এলিটদের এমন মনোভাবের কারণ কী? আমার ধারণা, এটা সমাজের কণ্ঠহীন, অবয়বহীন আর ক্ষমতাহীন মানুষদের প্রতি তাদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য ছাড়া আর কিছু নয়। হিরো আলম এমন সুবিধাবঞ্চিত সমাজ থেকে উঠে এসে তাঁর কণ্ঠ, চেহারা, এমনকি ক্ষমতা আমাদের দেখাতে পারছেন সদর্পে, এটা সহ্য হয় না আমাদের অনেকের।
হিরো আলম: ‘আমার এমপি হওয়া নিয়ে, সংসদে যাওয়া নিয়ে অনেকের ঘুম হারাম, মাথা কামড়ায়। একজন এমপির কাজ কী? সংসদে কথা বলা। আমি কি কথা বলতে পারি না? আমার চেহারা নিয়ে এত আপত্তি কেন? এত নাটক কেন? সেখানে কেন ভালো চেহারার লোক লাগবে? আমাকে সংসদে নিয়ে গিয়ে কি অভিনয় করাবেন? আমি আপনাদের মতো ভালো কথা বলতে পারি না। বগুড়ার আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলি, এ জন্য আপনাদের বাঁধে। আপনাদের মা-বাবা আছে জন্য পড়ালেখা করতে পেরেছেন, শিক্ষিত হয়েছেন। স্পিকার হয়েছেন, মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন, কমিশনার, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হয়েছেন। আমাদের মতো নুন আনতে পান্তা ফুরোনোর মতো অবস্থা হলে এটা হতে পারতেন না। শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে কথা বলেন। অনেক এমপি তো স্বশিক্ষিত। সংসদে ঠিকমতো “স্পিকার” উচ্চারণ করতে পারেন না। আপনাদের এত যোগ্যতা থাকলে দেশের এই অবস্থা কেন? কেন জনগণ আপনাদের ধিক্কার দিচ্ছে।’
হিরো আলম ক্রমেই জনতার কণ্ঠে পরিণত হচ্ছে। এস. আলম না, হিরো আলমদেরই প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৫ জানুয়ারি হিরো আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ১২ জানুয়ারি হিরো আলমের আপিলের ওপর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। তিনি নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে শুনানিতে অংশ নেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম।