সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম পেসার আল আমিনের বিরুদ্ধে স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা মা’র’ধ’রে’র অভিযোগের আলোকে এই মুহূর্তে নানা আলোচনা সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন এই দম্পতি। এরই মধ্যে স্ত্রীর করা মা’মলায় আজ মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আত্মসমর্পর করে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন আল আমিন।
তবে এদিকে এবার আল আমিনের বিরুদ্ধে একের পর এক উঠে এসেছে নানা অভিযোগ-
২০১২ সালে বিয়ের পর আল আমিনের সঙ্গে স্ত্রী ইসরাত জাহানের ভালো সংসার ছিল। কিন্তু জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার পর একটু একটু করে বদলাতে শুরু করেন। ২০১৬ সাল থেকে, আল আমিনের ‘ অনেক পরিবর্তিত’ সামনে এসেছে।
স্ত্রীর অভিযোগ, আল আমিন নিয়মিত বাসায় আসতেন না। বাড়িতে থাকলেও নানা অজুহাতে দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলত। এসব বিষয়ে প্রশ্ন করলে বলতেন- আমি এখন জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আমার অনেক ভক্ত আছে, আমাকে তাদের সাথে দেখা করতে হবে, আমাকে তাদের সাথে কথা বলতে হবে।
ম্যাসেঞ্জার আল আমিনের সাথে একটি মেয়ের একাধিক অ’ন্ত’র’ঙ্গ ছবি এবং ভি’ডিও দেখায়। এটা দেখে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। আমি যা দেখছিলাম তা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না!
ইসরাত জাহান বলেন, আল-আমিন ম্যাসেঞ্জারের এসব কথোপকথনের বিষয়ে জানতে চাইলে সহজ ভাষায় তা স্বীকার করেন। বলে সে মেয়েটিকে ভালোবাসে এবং তাকে বিয়ে করতে চায়। আমি তখনও আল আমিনকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। আমি তাকে আবার জিজ্ঞেস করলাম, তুমি যদি ঐ মেয়েটিকে ভালোবাসো তাহলে আমি কে? তখন আল আমিন বলেন, সে আমাকে কখনো ভালোবাসেনি। আমি তাকে জি’জ্ঞেস কর’লাম, তাহলে তুমি আমাকে বিয়ে করে বাচ্চা জন্ম দিলে কেন? তারপর বললেন, তার কিছু করার নেই
ইসরাত জাহান বলেন, নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে আমাদের ফ্ল্যাটে আসেন আল আমিন। কল্যাণপুরে থাকতে আমরা দুজনেই ফ্ল্যাট পছন্দ করি। ২০২০ সালের প্রথম দিকে আমাদের সেখানে থাকার কথা ছিল। আমি তখন আল আমিনকে ফোন করে বললাম, আমি তাহলে এখন ঢাকায় চলে আসি। তারপর আমাকে বললেন, না তুমি এখন ঢাকায় আসবে না, গ্রামেই থাক। বড় ছেলের ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তির সময় হলে তোমাকে ঢাকায় নিয়ে আসব। আর ফ্ল্যাটের কাজ শেষ হয়নি।
পরে ঈদের পর তাকে না বলে ঢাকায় চলে আসি। এসে দেখি আল আমিন ওই মেয়ের সঙ্গে ফ্ল্যাটে থাকেন। আমাকে দেখে মেয়েটা চলে গেল। কিন্তু আমি কেন না বলে চলে আসছি, তাই সে আমাকে প্রায় ১৫ দিন মা’র’ধ’র করে। আমার চিৎকারে আশেপাশের ফ্ল্যাটের লোকজন জড়ো হয়ে গেলেও তিনি থামেননি। পরে সইতে না পেরে বাড়ি যেতে বাধ্য হই। আমি তাকে না জানিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে আবার ঢাকায় আসি। এরপর বাড়ির দারোয়ান থেকে শুরু করে আশেপাশের ফ্ল্যাটের প্রতিবেশীরা তার কাছে বলে, ‘তুমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে তোমার স্বামী অন্য মেয়ের সঙ্গে এখানে থাকে।’ আমি আসার পর আবার সেই মেয়েটি তার জিনিসপত্র নিয়ে আবার চলে গেল। তারপরও আল আমিন ‘মে’রে’ আমাকে আবার বের করে দিল।। বলে, কেন ঢাকায় এসেছি? পরে ঢাকা থেকে শ্বশুর বাড়ি চলে আসি আমি।
তবে স্ত্রীর এ সকল অভিযোগ রীতিমতো অস্বীকার করেছেন ক্রিকেটার আল আমিন। তার দাবি, তার ক্যারিয়ার ধ্বংস করতেই তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।