সাম্প্রতি শাহজাদপুর উপজেলায় কায়েমপুর ইউনিয়নে এসিল্যান্ড ও ইউএনওর সাথে ঘটে গেছে এক অনাকাঙ্খিত কাণ্ড। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের উপর হামলা চালিয়ে দেয় এলাকাবাসী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য তাদের সাথে বারবার আলোচনার কথা বললেও কোনভাবে ক্ষেন্ত হয়ে না তারা। নারী-পুরুষ উভয় মিলে যে যার মতো ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে।
হামলায় শাহজাদপুর উপজেলার (ইউএনও) নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এসিল্যান্ড লিয়াকত সালমান আহত হয়ে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (২১ আগস্ট) সকালে বলদীপাড়া হলদিঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিকেলে ইউএনও তরিকুল ইসলাম এক সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, সকালে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ভাতা আবাসন প্রকল্পের ঘর নির্মাণের জন্য এসিল্যান্ড ও আমি শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের বলদীপাড়া হলদিঘর পরিদর্শন করি। এ সময় এলাকার উচ্ছৃঙ্খল কিছু যুবক-যুবতী রাস্তা অবরোধ করে অশোভন আচরণ করে। একপর্যায়ে আমি পিছন থেকে অতর্কিত হামলা করে, আমার গাড়ি ভেঙে দেয় এবং আমার দিকে ইট ছুড়ে দেয়, যার ফলে এসিল্যান্ডের মাথা ফেটে যায়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মাসুদ রানা জানান, উপজেলা জেলা প্রশাসক (এসিল্যান্ড) লিয়াকত সালমানের আঘাত বেশ গুরুতর। যার জেরে তার মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়। মাথায় আঘাত পাওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শাহজাদুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম মৃধা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। তবে বাধা দেয়া গ্রামবাসীদের সামনের সারিতে নারী ও শি/ শু থাকায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, গ্রামবাসীর সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় কর্মকর্তাদের শাহজাদপুরে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।