সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় এসে টিকে থাকার জন্য জঘন্য অন্যায় করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। তাদের দুর্নীতি অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধমূল কর্মের কারনে দেশে আজ অনৈতিক সংকট তৈরী হয়েছে। সরকারের এসবের জন্য জনগনকে অসহনীয় কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে নষ্ট করে নিজেদের ক্ষমতায় আসার পথ পরিস্কার করেছেন। বিরোধী মতকে দমনের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে যার কারনে মানুষ স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশের করতে পারছে না। এসব বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. আসিফ নজরুল পাঠকের জন্য হুবাহু সেটি তুলে ধরা হল নিচে।
ভন্ড এলিট
ভূয়া নির্বাচন করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করা , দেশ থেকে লক্ষ কোটি টাকা পাচার করা, নিজ দেশের সেনা কর্মকর্তা সহ বহুমানুষকে গুম করা, কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের পেটে লাথি মারা, অন্য দেশকে প্রকাশ্যে নিজের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপের আহবান জানানো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা?
হ্যা, শুধু একশ্রেনীর রাজনীতিক নয়, বাংলাদেশের ”এলিট” বুদ্ধিজীবীদের বিরাট একটি অংশ তাই মনে করে। তাদের কথাবার্তা শুনে মনে হয় শুধুমাত্র মুখে মুখে অসাম্প্রদায়িক থাকাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
মানুষের কাছে কোন গ্রহনযোগ্যতা নাই তাদের। এরা যখন কোন টক-শোতে যায় ভিউ হয় ২ বা ৩ হাজার। মন্তব্য ঘরে থাকে এদের প্রতি মানুষের ঘৃনা। আর নুরের মতো একটা তরুনও অভিন্ন কোন টক-শোতে যখন যায় তার ভিউ হয় কয়েক লক্ষ। আলোঘর, বাতিঘর নামক এসব বুদ্ধিজীবীর বই বিক্রয় হয় এক-দুই শত। তুলনায় আলী রিয়াজেরটা হয় কয়েক হাজার।
এই এলিটদের অনেকের সাথে আমার চলাফেরা আছে। অন্য যে কোন বিষয়ে খুব খুশী হয়ে তারা আলাপ করে। এসব প্রশ্ন তুললে তারা অত্যন্ত অস্বস্তি বোধ করে, কিছু বিষয় স্বীকার করে, বা মুখ কালো করে নিরব থাকে। সামান্য আরাম আয়েশ, স্বস্তি স্বীকৃতির লোভে একটা ভন্ড জীবন যাপন করে এদের অনেকে।
আহা, আমি যদি রেকর্ড করে দেখাতে পারতাম তাদের সাথে আমার একান্ত আলাপকালীন অবস্থা।
আমার কাছে যারা যতোবেশী দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করবে তারা ততো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী। এই চেতনার মালিক স্থায়ীভাবে কোন দল হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, সরকার দেশে জোর করে ক্ষমতায় থাকতে একের পর এক অন্যায় কর্মকান্ড ঘটিয়েছে যার ভুক্তভোগী সকল পেশার মানুষ বলে মন্তব্য করেন ড. আসিফ নজরু। সরকার অকর্মের কারনে দেশে আজ এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে বলেন তিনি।