সম্প্রতি এক নারীকে কোম্পানীগঞ্জ থানার এসআই মো. রতন মিয়ার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রীতিমতো গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। আর এ অভিযোগের আলোকে এসআই রতন মিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠকে বসতে অস্বীকৃতি জানালে সেবা প্রত্যাশী এক নারীকে গালিগালাজ করেন তিনি, যা পরে এই ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়।
এর আগে রোববার (১৬ অক্টোবর) রাতে এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রতন মিয়াকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের আকবর হাজী বাড়ির মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের স্ত্রী সেতারা বেগম।
ভুক্তভোগী নারী জানান, প্রায় ৭ মাস আগে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মেহের আলী কমলা বাড়ির সৌদি হাতিয়ে নেয়। এই প্রতারণার অভিযোগ এনে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। ওই অভিযোগে সৌদি প্রবাসী সাইফুল ইসলামের বাবা-মা ও স্ত্রীকে বিবাদী করা হয়।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি অভিযোগের তদন্তের জন্য এসআই রতনকে দায়িত্ব দিয়েছেন। পরে সমস্যা সমাধানের জন্য রতন আমাদের কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করে। কিন্তু তাকে দেওয়া হয় দুই হাজার টাকা। বাকি টাকা পরে দেওয়ার কথা ছিল। গত শুক্রবার প্রথম বৈঠকে আসামিরা কেউ থানায় আসেননি। দ্বিতীয় বৈঠকের জন্য এসআই রতন আসামিদের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকে বসতে বলেন। এরপর গত শনিবার সন্ধ্যায় এসআই ফোন করে বলেন, থানায় কোনো বৈঠক হবে না। বসুরহাট বাজারের হক হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ভুক্তভোগী আরো জানান, আমি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বৈঠকে বসতে অস্বীকার করলে এসআই আমাকে ফোনে গালিগালাজ করেন। তখন আমি বললাম, থানায় অভিযোগ করেছি, থানায় মিটিংও হবে। তখন এসআই আমাকে থানার গেটে আসতে বলেন। পরে থানার গেটে ঢোকার পর আবারও গালিগালাজ করেন। যা মুখে বলা যায় না।
এদিকে এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সাদেকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় গালিগালাজের যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনার পরপরই ওই এসআইকে ক্লোজড করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।